এ বার গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটে ইলামবাজার পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়েছেন বছর বাহাত্তরের বৃদ্ধ প্রবীর রাহা। ইলামবাজার একডাকে যাকে চেনে ‘বাবলু দা’ বলেই। কারণ ইলামবাজারের বুকে প্রথম অটো নামিয়েছিলেন ‘বাবলু দা’। গাঁ-গঞ্জের মানুষকে রাতবিরেতে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ভরসা ছিলেন সকলের কাছের মানুষ বাবুলদাই। তিনিই এ বার লালঝান্ডার প্রার্থী ইলামবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েতের আগে রাজ্যে নয়া রাজনৈতিক দল! পতাকায় ঢেকেছে চারিদিক! কী নামে আত্মপ্রকাশ?
advertisement
অটো হাতছাড়া হয়েছে বছর দশেক হল। স্ত্রী’র দূরারোগ্য ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যান। দেনা মেটাতে বেচতে হয় সাধের অটো। তারপর থেকে চালচুলোহীন নিঃসন্তান বাবলু দা ভাইপোর আশ্রয়ে রয়েছেন। দু-বেলা ভাত জোটে ভাইপোর কাছেই। বাকি খরচ চালাতে তিনি একটি ওষুধের দোকানে কাজ করতেন। কিন্তু পঞ্চায়েতের প্রার্থী হতেই সেই কাজও গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েতের আগে কী দাওয়াই! আজ আলিপুরদুয়ারে প্রচারে ঝড় তুলবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রবীর রাহা জানান, “ওষুধের দোকান থেকে যা পাই তা নিজের ওষুধ কিনতেই চলে যায়। চিকিৎসকরা কখনও দু-একশো টাকা দিত। আজ সেই কাজও চলে গেল।” তাঁর দাবি, ভোটে দাঁড়ানোয় শাসক দলের লোকজন ওষুধের দোকানের মালিককে হুমকি দিয়েছিল যাতে তাঁকে কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেই মতো ভোটের প্রার্থী হওয়ার পরেই তাঁকে কাজে আসতে নিষেধ করে দিয়েছেন ওষুধ ব্যবসায়ী৷
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ফজরুল রহমান। তিনি বলেন, “এই ব্লকে বিরোধীদের কোনও অস্তিত্ব নেই। শাসক দলকে বদনাম করার জন্য বিরোধীরা এ সব চক্রান্ত করছে।”
Subhadip Pal