মার্চ মাসে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ঘটে যাওয়া গণহত্যার ৮ মাস পর গত ৩ ডিসেম্বর সিবিআই আধিকারিকরা মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে ঝাড়খণ্ডের নরোত্তমপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। ৪ ডিসেম্বর আদালতে তোলা হলে প্রথমে ৬ দিন এবং পরে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজত দেওয়া হয়। হেফাজতে থাকাকালীনই সোমবার ঝুলন্ত অবস্থায় বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় লালনের মৃতদেহ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রামপুরহাট মেডিক্যালে বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের ময়নাতদন্ত, মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার তড়িঘড়ি রামপুরহাটে পৌঁছন। তিনি জানান, "সিবিআইয়ের ডিআইজি অফিস থেকে ফোনে জানানো হয়, লালন শেখকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চলছিল। তবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বিকাল ৪:৪০ মিনিট নাগাদ রামপুরহাট থানা এবং ৫'টা নাগাদ আমায় ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় আমরা মামলা শুরু করব। মামলা শুরু করার ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া রয়েছে সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী এই মামলা শুরু করা হবে। এরপর তদন্ত করে জানানো হবে মৃত্যুর কারণ কী রয়েছে। হেফাজতে থাকাকালীন কারো অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশ রয়েছে সেই অনুযায়ী মামলা শুরু করা হবে। সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন লালন।"
Madhab Das