প্রায় চার বছর ধরে সিউড়ি হাটজনবাজার এলাকায় নিজের পাঠশালা চালাচ্ছেন জগন্নাথ। প্রথমে আট থেকে দশজন ছাত্রছাত্রী নিয়ে তাঁর বিদ্যাসাগর পাঠশালা শুরু হয়।
এখন সেই ছাত্র সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০। তবে এখন তিনি আর একা পড়ান না। তাঁর সঙ্গে আরও সাতজন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন যাঁরা ওই পাঠশালা চালান। সিউড়ি থেকে কোমা যাওয়ার রাস্তার উপরে রয়েছে ওই পাঠশালা। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পাঠশালা'।
advertisement
জগন্নাথ জানান, আমার জন্মের পর থেকেই দু'হাত নেই।
আরও পড়ুন: Hooghly News: রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে এ কী কাণ্ড, দেখতে লোক জড়ো হল আরামবাগের রাস্তায়
তাও আমি নিজের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পেরেছি। তাহলে এই গরিব শিশুদের পাশে দাঁড়ালে তারাও পড়াশুনা করে যেতে পারবেন। সেই চিন্তা থেকেই আমার এই উদ্যোগ। তবে জগন্নাথের পাঠাশালায় এখন কেবল পড়াশুনা করানো হয় না। পড়াশুনার পাশাপাশি নাচ, গানও শেখানো হয়। বিনা খরচে পড়াশুনা শেখার সুযোগ পেয়ে খুশি পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরা।
Subhadip Pal