কথিত আছে, হেতমপুর ও রাজনগরে রাজাদের রাজত্ব চলাকালীন কড়িধ্যা বর্ধিষ্ণু জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল | এই গ্রামের মধ্যে দিয়েই গিয়েছে রাজনগরের রাজপথ, যা এখনও বর্তমান | বর্গী আক্রমনের সময়, রাজনগরের রাজাদের সঙ্গে বর্গীদের যুদ্ধ বাঁধে | কড়িধ্যা থেকে অনতি দুরে রাজারপুকুর, নগরী ও সংলগ্ন মাঠ হয়ে উঠেছিল যুদ্ধ ক্ষেত্র।
জানা যায়, বর্গীরা যেসমস্ত জনপদ দিয়ে যেত, সেই সমস্ত জনপদ থেকে তারা খাবার বা রসদ সংগ্রহ করত, যাতে তারা পরবর্তী লড়াইটা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে | তাই যুদ্ধ ক্ষেত্র লাগোয়া গ্রামের উপর বর্গীরা চড়াও হয়ে খাবার বা রসদ জোগাড় করত।গ্রামের উপর বর্গী আক্রমন রুখতে কৌশল নেন রাজা রামরাম সেন। তিনি গ্রামবাসীদেরকে পরামর্শ দেন এই শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করার | কারণ বর্গীরা ছিল শিবভক্ত | তাই কোথাও শিব মন্দির দেখলে সেই গ্রামে তারা হানা দিত না |
advertisement
আরও পড়ুন: North 24 Parganas News: বসিরহাটের কুমারপুকুরের প্রাচীন বেতশ্রী কালী মন্দিরের ইতিহাস জানুন
রাম রাম সেনের কথামত এই মন্দিরগুলি প্রতিষ্ঠা করে কড়িধ্যা গ্রামের বাসিন্দারা.|আর সেই বুদ্ধি বা কৌশল কে কাজেও লাগে এই শিব মন্দিরগুলি স্থাপন করার পর আর কড়িধ্যায় হানা দেয়নি বর্গীরা | সেই মন্দিরগুলি থেকে গিয়েছে আজও অনেক মন্দির স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে সংস্কার করা হলেও, কিছু মন্দির ভগ্নপ্রায় দশাতেই থেকে গিয়েছে আজও. তবে নিত্যপুজো দেওয়া হয় প্রায় সব মন্দিরেই |l
সৌভিক রায়