আরও পড়ুনঃ আর যেতে হবে না কেদারনাথে! সাধ্যের মধ্যে মনের বাসনা পূরণ এবার বসিরহাটেই
উল্লেখ্য, শ্রীরামপুর হুগলি থেকে বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনে বি-মিউজিক কোষে দক্ষতার বিকাশ ও উন্নতির জন্য পড়তে আসেন এই ছাত্রী। পরবর্তীকালে, বি-মিউজিক শেষ করে এম মিউজিকে ভর্তি হন। এম মিউজিক-এর প্রথম বর্ষেই ভর্তি হবার পরপরই সংগীত ভবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে তালিম নিতে শুরু করেন অধ্যাপকের কাছে। ছাত্রীর অভিযোগ, এরপর থেকেই শুরু হয় ক্রমাগত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। গবেষণারত থাকাকালীনও একইভাবে নির্যাতন করা হয়। তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধেই হোস্টেলে ট্রেনে বাসে বিভিন্ন জায়গায় পিছু নেওয়া শুরু করেন অভিযুক্ত ওই অধ্যাপক।
advertisement
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অত্যাচারিত হওয়ার পরও পারিবারিক সম্মানহানীর ভয়ে তিনি প্রশাসনকে বিষয়টি জানাননি। ২০২০ সালে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে জানানোর পরও অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি গঠন করার নাম করে কোন সুরাহায় হয়নি অভিযোগ ওই ছাত্রীর। প্রায় ১২ বছর বিস্তৃত সময় ধরে অপরাধীর তদন্ত এবং সুবিচারের জন্যই পথ চেয়ে বসেছিলেন ওই ছাত্রী। সুবিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে সম্প্রতি, শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ করেন ওই নির্যাতিতা গবেষিকা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। আর আইনি যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তা নেওয়া হচ্ছে।
Subhadip Pal