বিষ্ণুপুরী বালুচরী তিন ধরনের, সাধারণ এক সুতোর বালুচরী, দুই সুতোর বিশেষ মিনাখালী বালুচরি এবং স্বর্ণচরি। ঘট ঘট আওয়াজ আর পায়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাতের কাজ। দেখে মনে হবে তাঁতী তার ইচ্ছে মত হাত পা নারছেন এর নিজে থেকেই তৈরি হচ্ছে শাড়ির নকশা। বড় ভুল করবেন যদি এমনটা ভেবে থাকেন।
আরও পড়ুন: সেঁকা লিট্টি সঙ্গে আলু সেদ্ধ, বিহারের জনপ্রিয় খাবার এখন বাংলার ‘এই’ শহরে
advertisement
আপনার পছন্দের বালুচরি শাড়ির নকশা এবং বুনন সবই আগে থেকে নির্ধারিত করা থাকে। তারপর সেই মাপ বুঝে নিপুণ হতে মনযোগ সহকারে চলে তাঁতিদের কাজ। কাজ নয়! এ যেন আরাধনা। মনোযোগ ভঙ্গ হলেই কেটে যাবে সুর। মল্ল রাজাদের বিষ্ণুপুরে এলে আজও দেখতে পাবেন হাতে বোনা বালুচরি শাড়ির কর্মশালা। তাঁতিরা যেখানে কাজ করছেন দিন রাত এক করে।
আরও পড়ুন: ‘সর্ষের তেল’ না ‘রিফাইন্ড তেল’…? কোন তেলে বেশি উপকার? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মত
এতটা নিষ্ঠা এবং ভালোবাসা দিয়ে তৈরি হয় বালুচরি শাড়ি। তাই পুরো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বালুচরি শিল্পী অরুণ দে জানান যে একটি হতে বোনা আসল বালুচরি শাড়ি মা, মেয়ে এবং নাতনি মিলে পড়েও নষ্ট করতে পারবে না।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়