বাড়িতে নয়, রেস্তোরাঁয় নয়, নৌকোতে বসে জামাই বরণ হল জামাইষষ্ঠীতে। একেবারে অন্য আঙ্গিকে তাক লাগানো এক জামাইষষ্ঠী দেখল বাঁকুড়া জেলা। বাঁকুড়া জেলার প্রাণকেন্দ্র বিষ্ণুপুরের দুই শাশুড়ি দুই জামাইকে নিয়ে জয়পুরের সমুদ্রবাঁধের ডোমকয় বসে একেবারে রোমান্টিক জামাইষষ্ঠী পালন করলেন।
আরও পড়ুন: ইলিশ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা কিলো! ফল-সবজিতেও ছ্যাঁকা! আগুন জামাইষষ্টীর বাজার
advertisement
আয়োজনে কোনও খামতি ছিল না। জামাইষষ্ঠীতে যা যা লাগে সবই ছিল। চন্দনের ফোঁটা, দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ, মিষ্টিমুখ করা আর নৌকোয় চড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে স্পেশাল জামাইষষ্ঠী পালন হল এই পরিবারে।
জানা গেল, দুই জামাইকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য আগে থেকে কিছু বলেননি দুই শাশুড়িরা। প্রতিবছর ঘরেই পালন করা হয় কিন্তু এই বছর হঠাৎ নতুন আইডিয়া আসে মাথায়! জয়পুরের সমুদ্রবাঁধের জলে নৌকো চড়ে করা হবে জামাইষষ্ঠী পালন। থালা সাজিয়ে দেওয়া খাবার ছাড়াও এই মনোরম পরিবেশ জামাইদের কাছে এক উপরি পাওনা ছিল।
পেটুক বাঙ্গালির কাছে জামাইষষ্ঠীর আবেগটা একটু অন্যরকমের। আবার বাঙালি ঘুরতেও ভালোবাসে প্রচুর। এই দুইয়ের মেলবন্ধন ঘটল বাঁকুড়া জেলায়। জামাইষষ্ঠীতে নৌকোয় চড়ে স্পেশাল জামাই ডে পালন করে আগামিদিনে জামাইষষ্ঠীর আগে রাজ্যের অন্যান্য শাশুড়িদের জন্য ‘ফুড ফর থট’ চ্যালেঞ্জ দিয়ে ফেললেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের দুই শাশুড়ি।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়





