তারা আরো বলেন সমকাজে সমবেতন, সময় মত বেতন ও মাসের ২৬ দিনের কাজ এবং অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে রাজ্য সরকারের এই পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নেমেছেন তারা। এদিকে, অস্থায়ী ও চুক্তি ভিত্তিক নিযুক্ত এই বাস চালক ও পরিচালকদের কর্ম বিরতির জেরে স্থায়ী কর্মীদের ঘাড়ে অতিরিক্ত কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে পরিস্থিতি সামাল হচ্ছে বলে জানা গেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জেলাশাসকের দফতরে হস্টেলের চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ
অন্যদিকে পর্যাপ্ত বাসের অভাবে এবং সময়মতো বাস না মেলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। বাসচালক মলয় সিট এবং বাস পরিচালক টুবাই প্রামাণিকরা বলেন বিগত দিন থেকেই এই কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে তাদের কোন দাবি দাবা মানা হচ্ছে না। বছরের পর বছর তাদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে না। সামান্য ন্যূনতম বেতনে তারা সারা বছর কাজ করেন। তারা কাজ না করলে বেতন পান না অর্থাৎ নো ওয়ার্ক নো পে নিয়মে কাজ করে আসছেন।
আরও পড়ুনঃ মল্লগড়ের শিল্পীর হাত ধরে আত্মপ্রকাশ নবাবী বালুচরী শাড়ি 'অরুণিমা'-র
তাদের ২৬ দিনের কাজও ঠিকমতো পাচ্ছেন না। তাই পারিশ্রমিক মেলে অল্প। আর এই পারিশ্রমিকে তাদের সংসার চালানো খুব সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদিকে এতগুলো জীবনের দায়িত্ব থাকে তাদের ঘাড়ে। এক প্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থায় কাজ করে আসছেন তারা। তবে তাদের সাফ দাবি তাদের দাবি দাবা মানা না হলে এই আন্দোলন আরো বৃহত্তর গড়ে তুলবেন তারা।
Joyjiban Goswami