এই ভরা বর্ষায় চারিদিকে সাপ বেরিয়ে পড়ে। গ্রামের দিকে এই ঘটনা বেশি হয়। বুধবার রাতে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তার ধারে সাপটি দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, এত বড় আকারের সাপ এই এলাকায় আগে দেখা যায়নি। ফলে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে সাপটি উদ্ধার করেন অ্যাম্বুলেন্স চালক দিব্যেন্দু গোস্বামী। পরে তিনি বন দফতরে গিয়ে তাদের হাতে ময়াল সাপটি তুলে দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ইশারাতেই বাজিমাত! নিখোঁজ বৃদ্ধার বাড়ি ফেরার গল্প যেন সিনেমার প্লট
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানা এলাকায় বাড়ি দিব্যেন্দু গোস্বামীর। তিনি খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চালান। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে পশুপাখির সেবা করে থাকেন। ময়াল সাপ উদ্ধার প্রসঙ্গে দিব্যেন্দুবাবু জানান, সাপটি প্রায় ৫ ফুট লম্বা ছিল। ওজন প্রায় ৭ কেজি। এই সাপ সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়। বর্ষার জলে ভেসে লোকালয়ে চলে আসতে পারে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, ময়াল সাপের ইংরেজি নাম ‘রক পাইথন’। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘পাইথন মলিউরাস’। ভারতীয় উপমহাদেশের স্যাত স্যাঁতে আবহাওয়ায় এরা বসবাস করতে ভালোবাসে। ময়াল সাপ একা থাকতেই পছন্দ করে। এদের সচরাচর যুগলে দেখা যায় না। তবে এদের বিষ নেই।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী