এই পারফেকশনকে তাড়া করতে করতে ‘‘শিল্পের মধ্যেই হারিয়ে যান শিল্পীরা। আমরা বলি, শিল্পী একটু পাগলাটে হয়। শিল্পীরা নিজের কাজে বুঁদ হয়ে থাকেন। কাজে পারফেকশন খুঁজতে গেলে নিজের কাজে নিজের শিল্পে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হতেই হবে। আমি বলছি না।’’ এরকমটাই বলছেন বাঁকুড়ারই সন্তান রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী হীরালাল কর্মকার। ১৯৮৫ সালে একটি অতি ক্ষুদ্র সৌখিন মাইথোলজিকাল পিসের জন্যে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান তিনি। এছাড়াও পেয়েছেন বহু স্বীকৃতি।
advertisement
আরও পড়ুন – ‘গুজরাতে আছি, আমার খাবার তো পাব না, ’- মহম্মদ শামির ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল
ছোটবেলায় স্কুলের সরস্বতী ঠাকুর বানানো থেকে যাত্রা শুরু তারপর শুশুনিয়ায় পাথর খোদাই করা শিল্প শিখে কিছু নতুন করতে চেয়েছিলেন হীরালাল কর্মকার। তাই পরিত্যক্ত বেলের খোলা কিংবা নখ সবকিছুর মধ্যেই গল্প খুঁজে পেতেন তিনি। শেনি আর হাতুড়ি নিয়ে খোদাই করে রূপ দিতেন সেই না দেখা গল্পগুলোর। এক টাকার কয়েন বা ৫০ পয়সার কয়েনের আকারের বিশ্বরূপ দর্শন এবং রাবনের সীতা হরণ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন – IMD Kalbaisakhi Alert: চরম গরমের পর বেলা বাড়লেই তাণ্ডব, ফুঁসবে সমুদ্র, হুহু হাওয়া, প্রবল বৃষ্টি
রাবণ এবং সীতার প্রত্যেকটি বস্ত্রের খান এবং হাতের আঙ্গুল, আজও অ্যাটেনশন টু ডিটেল এ কোন খামতি নেই। শুধু শিল্পচর্চায় নয় কাঠের কাজ শিখে অথবা খোদাই করে শিল্প তৈরি করার প্রবণতা থাকলে আর্থিক স্বনির্ভরতাও পাওয়া যায় এমনটাই বলছেন তিনি।
কাঠের খুটখাট শব্দ আর কাঠের গুঁড়োতে ভরে থাকে হীরালাল বাবুর কর্মশালাটি। ওনার কাছে প্রশিক্ষণ নেন শিক্ষানবিশরা। তারা স্বপ্ন দেখে হীরালাল বাবুর মতই জর পদার্থে প্রাণ ফোটানোর। স্বীকৃতির লোভ নয়, শিল্পের নেশা আর নিজের কাজকে আরও উৎকৃষ্ট করে তোলার আকাঙ্ক্ষাতেই বাঁচে শিল্পী, তাই এখনও একজন শিল্পী হিসেবে সব কিছু পেয়েও মাটিতে পা রেখে শিল্প চর্চা করে চলেছেন হীরালাল কর্মকার।
Neelanjan Banerjee