যেমন নৃত্য ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বাঁকুড়ার তিন মেয়ে মুম্বাই গিয়ে একটি জনপ্রিয় সর্বভারতীয় নাচের রিয়ালিটি শোতে জায়গা করে নিয়েছিলেন। একজন ছিলেন আমিশা খাঁ। প্রতিযোগিতায় একের পর এক বড় শিল্পীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজ করে সঞ্চয় করা শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চায় বাঁকুড়ার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনেই মর্মান্তিক ঘটনা! বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু আরোহীর, আহত আরও দুই
advertisement
বাঁকুড়া শহরের লালবাজার এলাকার আমিশার বাঁকুড়া থেকে মুম্বাই যাওয়ার অভিযানটাও সহজ ছিল না। বয়স যখন ৫ বছর তখন পারিবারিক কারণে আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত সংকট জনক হয়ে পড়ে। আমিশা খাঁয়ের মা মিঠু খাঁ একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে সংসারের হাল ধরেন। তখন থেকেই আমিশার চোখে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দানা বাঁধে। নিজেও একসময় বেসরকারি একটি হাসপাতাল কাজ করতেন আমিশা।
সেই কাজ ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে সম্পূর্ণ ভাবে নাচের প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। আমিশা খাঁ জানান, মূলত ধারাবাহিকতা, শরীরের ফিটনেস এবং অনুশাসন কীভাবে ধরে রাখতে হয় তাই শিখে এসেছেন তিনি এবং এই বিষয় গুলি বাঁকুড়ার নৃত্য প্রেমী ছাত্র ছাত্রীদের তুলে ধরতে চান তিনি।
সব রকমেরই নাচ শেখান আমিশা। “অ্যাক্রোবাটিক ডান্স” এবং ফিটনেসের ওপরে নির্ভরশীল নাচের ওপরে আগ্রহী নতুন প্রজন্মের ক্ষুদেরা। নাচ ছাড়াও বাগান তৈরির শখ রয়েছে আমিশার। আমিশা খাঁয়ের ছাত্রী মৌমিতা দাস জানান, “দিদির কাছে আমাদের স্বপ্ন পূরণের রসদ পাচ্ছি। বডি ফিটনেস, ডিসিপ্লিন এবং কীভাবে বড় মঞ্চে কাজ করতে হয় সেটা শিখছি।”
অনেক সময় সহজ হয়না চাকরিছেড়ে নিজের স্বপ্নকে তাড়া করা। মাস মাইনের নেশা ত্যাগ করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়, এটাই প্রমাণ করেছেন আমিশা খাঁ। মুম্বাই গিয়ে যা কিছু শিখে এসেছেন সেগুলি পাথেয় করে মাত্র ২৫০ টাকা প্রতি মাসের বিনিময়ে ২৫ ছাত্র ছাত্রী নিয়ে তিনি নাচের স্কুল খুলে স্বনির্ভরতার পথ খুঁজছেন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী