প্রত্যেকের জীবন পরিবর্তন হয়ে যায় কোভিডের বিষ বাষ্পে। ইকোনমি পড়তে থাকে ফলেই ধাক্কা খায় স্টক মার্কেট যার জন্য চাকরি হারান লক্ষ লক্ষ মানুষ। বাঁকুড়াতেও তার প্রভাব সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা গিয়েছিল। বাঁকুড়া জেলার ব্যস্ততম জায়গা গুলির মধ্যে প্রত্যেকটি জায়গায় ই খাঁ খাঁ করত দিন দুপুরে। বাঁকুড়া থেকে বাইরে কাজ করতে যাওয়া বহু মানুষ আটকে যান অন্য রাজ্যে আবার বাঁকুড়ায় ভিন রাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিরা পড়েন খুবই সমস্যায়। বাঁকুড়ার বাড়িতে বাড়িতে দেখা যায় নানা ধরনের সমস্যা। কারুর প্রয়োজন প্রয়োজনীয় ওষুধ , আবার ইনসুলিনের জন্য পড়ে গেছে হাহাকার। তার ওপর জেলা জুড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় ফলেই চরম সংকটে পড়ে জেলার মানুষজন। এটি ভিনদেশী ভাইরাসের প্রকোপে পড়ে অসম্ভব দুর্ভোগ শুরু হয় ২০২০ সালের এই আজকের তারিখ থেকে।
advertisement
কিন্তু লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় আপাতকালীন পরিষেবা। লকডাউন চলাকালীন বাঁকুড়া শহরের মানুষকে যাবতীয় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাহায্য করার স্বার্থে ময়দানে নামেন একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
প্রথম দিন থেকেই গ্রাউন্ড জিরো থেকে কাজ শুরু করে নন ফান্ডিং NGO"বহুরূপী"। প্রতাপবাগান ও লালবাজার এই দুই এলাকার দুটি বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, একজন অসুস্থ মানুষকে কেমো নিতে যাওয়ার জন্য এম্বুলেন্স জোগাড় করার চেষ্টা এবং SDO সাহেবের অনুরোধে নাগপুর থেকে আসা এক ব্যক্তির গৃহবন্দী অবস্থায় প্রয়োজনীয় দ্রব্য জোগাড় করে দেওয়ার মত কাজ করে বহুরূপী। প্রশাসনের সহায়তায় বহুরূপীর মত সংকল্প, ওন্দা যুব সমাজ, মাতৃভূমি, ব্যতিক্রম, টিম হিতৈষী প্রত্যেকেই কাজ করে।
আরও পড়ুন: রোজ পেয়ারা খেলে কী হয় জানেন? শুধু ফল নয়, পাতাতেও আছে চমক! জানুন
আরও পড়ুন:
প্রকৃতির বড় বড় বিপর্যয়ের পর যেরকম পৃথিবী নিজেকে সামলে নেয় সেরকমই বর্তমানে করুণার কথা আমরা অনেকেই ভুলে গেছি বাঁকুড়া জেলায় এখনো "নো মাস্ক নো এন্ট্রি" লেখা দরজা দিয়ে প্রবেশ করছেন মাস্ক না পড়া অনেকেই। যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা কোন প্যান্ডেমিক আস্তে খুব কম সময় লাগে তাই প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব নয় ফলেই আগে থেকে প্রস্তুত থাকায় বুদ্ধিমানের কাজ। ২০২০ সালে এই শিক্ষাই গ্রহণ করেছে বাঁকুড়া জেলা।
Nilanjan Banerjee