যেহেতু জঙ্গল মহল শাল, পলাশ এবং মহুয়ায় ঘেরা। তাই শাল পাতাকে বিকল্প জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়ে তাদের রোজগারের পথ সুগম করতে উদ্যোগী হচ্ছে সরকার। পরিবেশ দফতর ও পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সহযোগিতায় ডি আর এম এস ল্যাম্পসের তত্ত্বাবধানে চালু হল শাল পাতার ইউনিট। শাল পাতার থালা বাটি তৈরির মাধ্যমে আদিবাসীদের স্বনির্ভর করতে এগিয়ে এল পরিবেশ দফতর ও পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন দফতর।পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে জঙ্গলের শাল পাতাকে ব্যাবহার করে জঙ্গলমহল এলাকার বাসিন্দাদের স্বনির্ভর হবার সুযোগ। মূলত এই সব এলাকাগুলিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বসবাস। সেই কারণেই এই উদ্যোগ এক কথায় অসাধারণ বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ। উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ দফতরের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ আচার্য। তিনি জানান, “এই উদ্যোগে জঙ্গল মহলের মহিলারা উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা হবে।” জানা গেছে এই শাল পাতার ইউনিটে মূলত রাইপুর ডি আর এম এস ল্যাম্পসের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই এই পাতা তৈরির কাজ করবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এক ইঞ্চির টেরাকোটার দুর্গা, মাতৃ প্রতিমা বানিয়ে তাক লাগালেন বাঁকুড়ার গৃহবধূ
শাল, পিয়াল এবং মহুয়ার জঙ্গলে ঘেরা বাঁকুড়ার জঙ্গল মহল। পর্যাপ্ত পরিমাণে শাল পাতা পাওয়া যায় এখানে। তাই সেই শাল পাতা ব্যাবহার করে তৈরি করা হবে থালা বাটি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে এবং বনজ সম্পদে ভরপুর জঙ্গল মহলের হাত ধরে পরিবেশ সচেতন হবে বাঁকুড়া।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী