বাঁকুড়ার কংসাবতীর মুকুটমনিপুর জলাধার নিম্ন অববাহিকায় তৈরি হয়েছে বন্যার আশঙ্কা। তবে জল ছাড়ার দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুশি পর্যটকেরা। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে এবার জল ছাড়া সিদ্ধান্ত নিল বাঁকুড়ার কংসাবতীর মুকুটমণিপুর জলাধার কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: থিম পুজো ভাল লাগে না! চলে আসুন বাঁকুড়ার দামোদরবাটি রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয়!
এদিন কংসাবতী জলাধার থেকে নদী বক্ষে ৫,২২২ কিউসেক, জল ছাড়া হয়। এছাড়াও লেফট ব্যাঙ্ক ফিডার ক্যানাল দিয়ে ৩,৪৭৯ এবং রাইট ব্যাঙ্ক মেন ক্যানেল দিয়ে ৯,০৯৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়।বৃষ্টি পরিমান দেখে দফায় দফায় জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হবে এমনটাই দাবি কংসাবতী কর্তৃপক্ষের।
advertisement
কংসাবতী সেচ দপ্তরের এসডিও চিত্তরঞ্জন রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হলে তিনি জানান, “কংসাবতীর সেচ দপ্তরের মুকুটমনিপুর জলাধারে জল ধারণ ক্ষমতা ৪৩৪ ফিট এর মধ্যেই দুই দিনের টানা বর্ষণে ৪৩২.২৫ ফিট জল ইতিমধ্যেই ভর্তি হয়ে গেছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা র কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই জল ছাড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংসাবতী কর্তৃপক্ষ।”
তবে এই জল ছাড়া হলে কংসাবতীর নিম্ন অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। মূলত পশ্চিম মেদিনীপুর কিছু অংশ ও হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই জল ছাড়ার প্রভাবে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। তবে মুকুটমণিপুর ঘুরতে আসা পর্যটকেরা জল ছাড়ার রোমাঞ্চকর দৃশ্য চাক্ষুষ করতে পেরে খুশি।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী