স্বাদে এবং রূপে উৎকৃষ্ট এই পেয়ারা টক্কর দেবে বারুইপুরের পেয়ারার সাথে। একেবারে বীজ নেই বললেই চলে এই পেয়ারাতে। সুমিষ্ট বড় বড় পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে বাঁকুড়ার স্থানীয় বাজারগুলিতে। বাঁকুড়ার মানুষ সাধ নিচ্ছেন থাইল্যান্ডের পেয়ারার।
আরও পড়ুন: আপনার সোনায় ৬ সংখ্যার হলমার্ক আছে? না থাকলে কী করবেন দেখে নিন!
সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে তৈরি এই পেয়ারা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল। স্বাস্থ্যকর এই পেয়ারার সাত একেবারে অতুলনীয়। এক একটি গাছ থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলো ফলন হয় প্রতিবছর। পেয়ারা গুলির আকার এবং ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বাঁকুড়ার লাল মাটিতে এই থাইল্যান্ডের পেয়ারা চাষ করে দারুন রেজাল্ট পেয়েছে পরশ মনি। বাঁকুড়া ছাড়াও দুর্গাপুর এবং কলকাতাতে বিক্রি হচ্ছে এই পেয়ারা।
advertisement
বারুইপুরে পেয়ারার সাথে তুলনা করলে বোঝা যাবে অনেকটাই উৎকৃষ্ট এই থাইল্যান্ডের বিদেশি পেয়ারা। বীজ হীন এই সুমিষ্ট থাইল্যান্ডের পেয়ারা এখন মন কেড়েছে দক্ষিণবঙ্গের। বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও এই পেয়ারা চাষ করে ভবিষ্যতে সফল একটি ব্যবসা করতে পারবে এমনটাই আশা রাখছে পরশমণি। বাঁকুড়ার কৃষকদের পতিত জমি গুলিতে এই পেয়ারা চাষ করে উপার্জন করার বার্তা দিচ্ছে পরশ মনি ডেভেলপমেন্ট এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
বছরে দুবার হয় পেয়ারা এবং পেয়ারা গাছের পরিচর্যা কম। বিশেষ করে বড় বড় সুমিষ্ট পেয়ারার চাহিদা অনেক। তাই পরশমনির দেখানো রাস্তা অনুসরণ করে পেয়ারা চাষ করে বিকল্প উপার্জনের পথ পেতেই পারে বাঁকুড়ার কৃষকরা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী