আরও পড়ুন: হায়দ্রাবাদ থেকে কফিনবন্দি হয়ে গ্রামে ফিরল পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রাইপুর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম ফুলকুশমা। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ থেকে প্রায় ৮০ কিমি দূরের এই গ্রামের রোগীদের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেলেন চিকিৎসকরা। এই সমস্ত এলাকার মানুষ রোগের জ্বালায় অনেক কষ্ট করে ছুটে যায় বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে। কিন্তু এদিন ঘটল উল্টো ঘটনা, এবার রোগীদের দরজায় এসে হাজির বাঁকুড়া মেডিকেলের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। সকালে শাল পিয়াল মহুয়ার জঙ্গলের রাস্তা ধরে ফুলকুশমাতে পৌঁছয় বাঁকুড়া মেডিকেলের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক দল। ফুলকুশমা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অস্থায়ী ক্যাম্প করে মেডিসিন, নিউরো, হার্ট, চক্ষু, শিশু, স্ত্রী রোগ সহ ১৫ টি বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ৬৩ জন চিকিৎসক এসে হাজির হন।
advertisement
চিকিৎসক দল গ্রামে আসছে খবর পেয়ে বিভিন্ন রোগের অসুবিধা নিয়ে ভিড় জমায় স্থানীয় মানুষজন। টিকিট কেটে বিভিন্ন রোগের পরিষেবা পেলেন তাঁরা। শুধু চিকিৎসা পরিষেবা নয়, এই পরিষেবার পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি ও মেডিসিন পরিষেবাও দেওয়া হয় এদিনের দুয়ারে ডাক্তার শিবির থেকে।
যারা এতদিন চিকিৎসকের কাছে ছুটে যেতেন সেই চিকিৎসক দল গ্রামে আসাতে খুশি গ্রামের মানুষজন। দুয়ারে ডাক্তার ক্যাম্পে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পেয়ে ভীষণভাবে খুশি প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা। এর সঙ্গে স্থানীয় বারিকুল হাসপাতালে একজন নিয়মিত চিকিৎসক থাকার আবেদন করেছেন স্থানীয়রা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী