বাঁকুড়া শহরের কলেজ মোড় এলাকার লীলাবতী মেডিক্যাল স্টোরের ভেতরের একটি ঘরে হাতুড়ে চিকিৎসক গর্ভপাত করতে যান, তারপরই শুরু হয় বিপত্তি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর্ণালী।
আরও পড়ুন: ঝড়-বৃষ্টির পর কনকনে শীতের কামড় পাহাড়ে, দার্জিলিংয়ের এই রূপ আপনি কখনও দেখেছেন কি
advertisement
পুলিশের তদন্তে এই ঘটনায় গ্রেফতার হন পাঁচ জন। বর্ণালীর প্রেমিক সন্দীপ কুন্ডু, হাতুড়ে চিকিৎসক সুব্রত চক্রবর্তী, মেডিক্যাল স্টোরের মালিক মহাদেব মণ্ডল, অশোক ধল্ল ও সন্দীপের বন্ধু বিশ্বজিৎ ওরফে বাপী ধীবরকে। দীর্ঘদিন ধরে চলে মামলা। মামলা চলাকালীন মারা যান মহাদেব মণ্ডল ও অশোক ধল্ল। আদালত বেকসুর খালাস করে বিশ্বজিত ধীবরকে।
আরও পড়ুন: মদ খাওয়ার টাকা মেলেনি, তাই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বেধড়ক মার! শেষমেষ বড় সিদ্ধান্ত আক্রান্ত গৃহবধূর
এর পর মামলা চলে হাতুড়ে চিকিৎসক সুব্রত চক্রবর্তী ও বর্ণালীর প্রেমিক সন্দীপ কুণ্ডুর দুইজনের বিরুদ্ধে। অবশেষে প্রায় দীর্ঘ ২৫ বছর পর সোমবার সম্পন্ন হল বর্ণালী গরাই হত্যাকাণ্ডের সাজা ঘোষণা।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১৪ নং ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ছাড়াও অনাদায়ে অতিরিক্ত এক মাসের জেল। ২০১ ধারায় ৩ বছরের জেল ও জরিমানা এবং অনাদায়ে অতিরিক্ত কারাবাসের নির্দেশ দেন বিচারক।
এই দু'টি সাজাই একসঙ্গে চলবে, এমনটাই জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী রূপক ভট্টাচার্য। অপরদিকে সাজাপ্রাপ্ত দু'জনই সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী পদ্মনাভ বিশ্বাস, এমনটাই জানান তিনি।
২৫ বছর আগে এই হত্যাকাণ্ড কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাঁকুড়াকে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম দখল করেছিল এই খবর। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন মহিলা সংগঠনও আন্দোলনে রাস্তায় নামেন। অবৈধ ভাবে গর্ভপাত কেন্দ্র বন্ধের জন্য অভিযানে শুরু হয়। অবশেষে বাঁকুড়ার এই কুখ্যাত হত্যাকাণ্ডের শুনানি হল দীর্ঘ ২৫ বছর পর।
Nilanjan Banerjee