বাড়ি বাঁকুড়া সদর থানার অন্তর্গত সানবাঁধা তমালতলা এলাকায়। হাজার প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে আজ তার এই সাফল্য। জীর্ণ টিনের চালের বাড়িতে বসবাস পরিবারের চার সদস্যের। রয়েছে মা বাবা এক বোন। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত চলে দারিদ্রের সঙ্গে অসম লড়াই। একেবারে দরিদ্র বাড়ির ছেলে সোমনাথের নুন আনতে বাড়িতে পান্তা ফুরোনোর মতো অবস্থা। উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে সে। সেই শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা সোমনাথকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন তার বাড়িতে। ততক্ষণ এসে পৌঁছেছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সাংবাদিকরাও। তবে ছেলে যে এভাবে পঞ্চম স্থান অধিকার করবে তা মোটেও ভাবতে পারেনি তার মা মুক্তা পাল। বাড়িতে যে মিষ্টি নেই, চূড়ান্ত অভাবের সংসারে ছেলেকে স্টিলের গ্লাসে জল খাইয়ে আশীর্বাদ করেন মা। হাসিমুখে মায়ের হাতে জল খেয়ে মা এবং বাবার পা স্পর্শ করে সোমনাথ। ততক্ষণে মায়ের চোখে দানা বেঁধেছে জল।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝোড়ার জল বেড়ে বিপত্তি! ক্ষতির মুখে রাজাভাত চা বাগান ও শ্রমিক মহল্লা
সোমনাথের বাবা নন্দ পাল সবজি বিক্রি করতেন। কিন্তু এক দুর্ঘটনায় কোমর ভেঙে যায় ফলে সংসার চালাতে বিড়ি বাঁধেন তার মা মুক্তা পাল। সেখান থেকেই যেটুকু আয় হয় সেই টাকায় চলে সংসার। তবেই হতদরিদ্র বাড়ির ছেলে সোমনাথ চাই ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে সমাজের মেরুদন্ড শিক্ষক হতে। তবে এসব পড়তে গেলে লাগবে অনেক খরচ সেই খরচ যোগানোর সামর্থ্য তাদের। গোটা পরিবার চাইছে আর্থিক একটু সাহায্য। এখন দেখার বিষয় জেলা প্রশাসন বা কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি সোমনাথের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে হয়তো সোমনাথ তার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে পারবে না হলে হয়তো এখানে থমকে যাবে সোমনাথের স্বপ্ন।
জয়জীবন গোস্বামী