পরে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করার ইচ্ছা থেকেই ২০২০ সালে পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর কলেজ থেকে ডি.এল.এড প্রশিক্ষণ নেয় সে। তারপরেও জোটেনি চাকরি। ফলে অবিরাম আত্মীয়স্বজনের কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাকে। শুভেন্দুর পড়াশুনার মান খারাপ তাই হয়তো সে জোটাতে পারেনি তার চাকরি। বেকার শুভেন্দু খারাপ একসময়কার প্রিয় মানুষটিও বিভিন্ন অজুহাতে ছেড়ে গেছে শুভেন্দুকে। তাই এই খারাপের গ্যারোয় আটকে না থেকে খারাপকে সঙ্গী করেই দুই বছর আগে এগিয়ে চলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বছর আঠাশের শুভেন্দু।
advertisement
শুভেন্দুর জোটেনি চাকরি তাহলে সত্যিই সে পড়াশোনায় খারাপ, সবার মনে ওঠে এই প্রশ্ন। তাই সে নিজেই নিজেকে খারাপ মেনে নেয়।রোজগার করতে শুরু করে চা দোকান। আর দোকানের নামেও রয়েছে খারাপ। তাই তার দোকানের নাম, শুভেন্দুর খারাপ চা-এর দোকান।কিন্তু খদ্দেরদের কথায়, এই চা যে খাবে তাকে দ্বিতীয়বার অবশ্যই আসতে হবে এই চা দোকানে। তবে শুভেন্দুর চায়ের দোকানের নাম শুভেন্দুর খারাপ চা নামকরণের রহস্যটা অনেকেরই অজানা। তবে এই বিষয়ে আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুর চা দোকানের নাম শুভেন্দুর খারাপ চা কেন তা নিয়ে সমস্ত রহস্য ভেদ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মানুষ থেকে কুকুর হলেন জাপানের যুবক! ১১ লাখ ৬৩ হাজারে স্বপ্ন সত্যি!
তিনি বলেন পড়াশুনা শেষ করেও এখনও চাকরি জোটাতে পারিনি। আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী থেকে বন্ধুবান্ধব সবাই একথায় তাকে খারাপ হিসেবে দেখতে থাকে। প্রিয় মানুষটিও তাকে খারাপ ভেবেই তার থেকে সরে গেছে। সবার চোখে আমি যখন খারাপ তাই খারাপকে সঙ্গী করেই খারাপ থেকে ভালোর আশায় এই চা দোকানের চিন্তাভাবনা। তবে তার এই খারাপ চায়ের দোকানের বাজার মন্দ নয় বলেও তিনি জানান। আগামীদিনে এইভাবেই চা দোকানের মাধ্যমে আরো এগিয়ে যেতে চায় সে।
শুভেন্দুর মত আরও অনেকেই পাননি চাকরি। তারা ভেঙে পড়লেও ভেঙে পড়েনি দুবরাজপুরের শুভেন্দু। থেমে থাকেনি শুভেন্দুর লড়াই। চাকরি না পাওয়ার যন্ত্রণায় একরাশ বেদনা নিয়েই খারাপ চা দোকানের নাম করেই খারাপ থেকে ভালোর দিকে এভাবেই এগিয়ে যেতে চায় সে। একদিন এই চা দোকান করেই প্রতিষ্ঠাতা লাভের আশায় দিন কাটাচ্ছেন দুবরাজপুরের শুভেন্দু।
JOYJIBAN GOSWAMI