গ্রামবাসীরা জানান, "দিনের বেলাতে চলাচল করা যায় না।আর রাতের বেলা তো আরও মুশকিল হয়ে যায় চলাচল।ভুল জায়গায় পা পড়লেই আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।তাই রাতের বেলা কেউ বের হননা ঘর থেকে।" এদিকে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য করিম মিয়াঁ জানান, "পঞ্চায়েতের তরফে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া সম্ভব। তাই সেটা করে দেওয়া হয়। পাকা সেতুর বিষয়ে বিডিও অফিসে জানানো হবে।" আলিপুরদুয়ার এক ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে গেলে সেতুর সমস্যা বেশি লক্ষ্য করা যায়। সম্প্রতি চেল নদীর ওপর সেতুর দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছিল এলাকাবাসীরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফের নকল মদের হদিস কালচিনির ভার্নোবাড়ি চা বাগানে, গ্রেফতার এক
পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে পাকা সেতুর দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। আলিপুরদুয়ার ফালাকাটা জাতীয় সড়কের পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরের সামনেসাহেবপোতা এলাকায় এই পথ অবরোধ করেন, প্রায় ৪০ মিনিট অবরোধ চলার পরে সোনারপুর ফাঁড়ির ওসি মিংমা শেরপা পৌঁছে অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তুলে দেন। দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের ভাঙাচোরা সাঁকো দিয়েই নিত্য যন্ত্রনা সয়ে ও ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করছেন দুই পারের গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুনঃ জান নদীর ওপর পাকা সেতুর দাবি আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দাদের
গত বিধানসভা ভোটের মুখে, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম টাকা বরাদ্দ করে ব্রীজের শিলান্যাস করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। কিন্তু দু-দুবার টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেও হয়নি কাজ। বর্তমানে জরাজীর্ণ ওই বাঁশের সাঁকো দিয়েই গ্রামবাসী থেকে স্কুল পড়ুয়া সকলেই প্রতিদিন পারাপার করছে চেল নদীর উপর দিয়েই। এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসীরা সোজা জানিয়ে দিয়েছেন তারা ভোট দেবেন না।পাকা ব্রীজের দাবি না মিটলে অবরোধ মাঝেমধ্যে হবে।
Annanya Dey