গত সেপ্টেম্বর মাসে অভিযান চালিয়ে বালি বোঝাই দুটি ট্রাক আটক করে কালচিনি থানার পুলিশ। জানা যায় কালচিনি ব্লকের লতাবাড়ি এলাকা থেকে দুটি বালি বোঝাই ট্রাক আটক হয়। পুলিশ সূত্রে খবর ট্রাক চালক কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাই তাদের গাড়ি আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্ভবত গাড়ি দুটি বাসরা নদী থেকে বালি বোঝাই করে যাচ্ছিল। গত মে মাসে নদীর বুক থেকে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে আর্থ মুভারের সাহায্যে বালি-পাথর উত্তোলন রুখে দিয়েছিল স্থানীয় জনতারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অজানা কারণে রাস্তা অসম্পূর্ণ কুমারগ্রামের চা বলয়ে! ক্ষোভ স্থানীয়দের
ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের উত্তর মেন্দাবাড়ি এলাকার কালজানি নদীতে। জনতার তাড়া খেয়ে শেষ পর্যন্ত ময়দান ছাড়তে বাধ্য হয় আইনভঙ্গকারীরা। জেলা পুলিশের তৎপরতায় বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি আর্থ মুভার। গত ১৯ মে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনার কাছে এই ভাবে বালি-পাথর উত্তোলনের প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন উত্তর মেন্দাবাড়ির বাসিন্দারা। অভিযোগ ছিল, তার পরও দিনেরাতে কালজানি নদীর বুক চিরে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার এলাকায় চলছিল আর্থ মুভারের সাহায্যে বালি-পাথর উত্তোলন। ওই অবৈধ কারবার রুখতে এককাট্টা হন এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুনঃ বেতনের দাবিতে ফের উত্তাল কোহিনুর চা বাগান
তাদের মিলিত প্রতিবাদই এলাকা ছাড়া করেন ওই অবৈধ বালি কারবারিদের। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে বাজেয়াপ্ত করে একটি আর্থ মুভার। ১৯৯৩ সালের ভয়াল বন্যার স্মৃতি এখনও কালচিনি ব্লকবাসীর কাছে টাটকা। চোখের নিমেষে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল গোটা গ্রামটা। বেশ কিছুদিন ধরে যে ভাবে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আর্থ মুভার দিয়ে নদীর বুকে গর্ত করা হচ্ছিল তাতে ফের বানভাসি হওয়াটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে জানায় মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। যার প্রভাব থেকে মুক্তি পাবে না জেলা শহর আলিপুরদুয়ারও। স্বাভাবিক কারণেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে প্রতিবাদের পথ নিয়েছেন সাধারণ মানুষ বলে জানা যায় মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে।
Annanya Dey