স্কুলে যা পড়াশুনো তা দিয়েই শিক্ষালাভ। আলাদা করে টিউশন? এই ভাবনা নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসারে যেন মানায় না। মা গৃহবধূ।বাবার সারাদিন দেখভাল করা মায়ের কাজ। পূর্বে এই ঠেলায় ব্যবসা তাদের বাবা করত। কিন্তু তার শরীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি বর্তমানে বিছানায় শয্যাশায়ী। ওষুধের খরচ? সংসার চলবে কি করে? এই ভেবে যখন দুই ভাইয়ের মা দিশেহারা। তখন বাবার ঠেলা সামলানোর দায়িত্ব কাঁধে নেয় দুই ভাই।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৬৪৮ কোটি বরাদ্দ টাকা খরচ হয়নি কেন? মুখ্যসচিবের জেরার মুখে একাধিক জেলা
সকালে স্কুল।এরপর বিকেল চারটে থেকে ঠেলা নিয়ে রাস্তায় চলে আসে দুই ভাই। রাত আটটা পর্যন্ত ঠেলা সামলে বাড়ি ফেরে। তারপর আবার পড়াশুনো। এইভাবেই কাটছে তাদের দিন। বাবার চিকিৎসা চালাতে কেউ যদি সাহায্য করত তাহলে তাদের ওপর থেকে চাপ কমত বলে জানান দুই ভাই। তাদের ঠেলার থেকে লিট্টি, সিঙ্গারা খেতে রোজ বহু মানুষ আসেন। কেউ এখনও পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ঠিক করে কথা পর্যন্ত বলেননি।ছোট দুই ভাই কেন এই কাজ করছে?সেই বিষয়ে কেউ জিজ্ঞাসা করেনি বলে অভিযোগ দুই ভাইয়ের। এই মুহূর্তে বাবার চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন বলে জানান তারা।
অনন্যা দে