২৬৪৮ কোটি বরাদ্দ টাকা খরচ হয়নি কেন? মুখ্যসচিবের জেরার মুখে একাধিক জেলা
- Published by:Sanjukta Sarkar
- Written by:SOMRAJ BANDOPADHYAY
Last Updated:
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ টাকা খরচ না করে জেলাগুলোতে পড়ে রয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন। আগামী ২রা জানুয়ারি এ নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্য সচিব।
#কলকাতা: আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেই গ্রামীণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। তারপরও পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ ২ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা খরচ না করে জেলাগুলিতে পড়ে রয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন। কেন এই টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত খরচ করতে পারছে না জানতে চেয়ে মুখ্যসচিব ২ জানুয়ারি বৈঠক ডাকলেন। এই বৈঠকে পঞ্চায়েত আধিকারিকদের সঙ্গে জেলাশাসকদেরও থাকতে বলা হয়েছে। গ্রামীণ উন্নয়নে অর্থ কমিশনের বরাদ্দের সবটাই মেলে কেন্দ্রীয় অনুদান হিসেবে। তাই খরচের ক্ষেত্রে গড়িমসি আগামী বছরগুলিতে কমিশনের সুপারিশ করা কেন্দ্রীয় অনুদান বরাদ্দ আদায়ের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে প্রশাসনিক মহলের আশঙ্কা।
অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে প্রতিটি জেলাকে জনসংখ্যার নিরিখে গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে এই টাকা কেন্দ্র থেকে পাওয়া যায়। কোনও বছরে এই টাকা কম খরচ হলে পরের বছরের বরাদ্দ কমে যায়। এজন্য নির্দিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক পরিকল্পনা মাফিক ৬০ শতাংশ টাকা বরাদ্দ করা হয়। একে শর্তাধীন বা টায়েড তহবিল বলা হয়। পানীয় জল ও স্যানিটেশন প্রকল্পে এই টাকা খরচ করতে হয়।
advertisement
advertisement
প্রতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলাগুলিকে এই তহবিলের বরাদ্দ পেতে গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক প্রকল্প অনুমোদনের জন্য জমা দিতে হয়। বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হয় আনটায়েড বা নিশ্বর্তাধীন তহবিলে। সেক্ষেত্রেও গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বাধীনতা রয়েছে। তাদের এই বরাদ্দ অনুমোদন পেতে তাদের পছন্দ মতো প্রকল্প বছরের গোড়ায় নিয়ম করে জমা দিতে হয়। যা মূলত গ্রামীণ পরিকাঠমোগত বিকাশে খরচ করতে হয়। কোনও পঞ্চায়েত বেতন, প্রশাসনিক কাজে বা পরিবহণ সংক্রান্ত কাজে এই টাকা খরচ করতে পারে না। এলাকার সমষ্টিগত উন্নয়নের স্বার্থেই এই টাকা খরচ করতে হয়।
advertisement
নবান্ন বলছে এই মুহূর্তে এরমধ্যে শর্তাধীন তহবিল বা টায়েড ফান্ড খরচ না হয়ে জেলাগুলিতে পড়ে রয়েছে ১৬৪৫ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে জেলাগুলিকে এই তহবিল থেকে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৪ হাজার ১৮২ কোটি টাকা। এই টাকা গ্রামীণ পানীয় জল,স্যানিটেশনের কাজে খরচ করার কথা। শুধুমাত্র গ্রামীণ পানীয় জল প্রকল্পে পঞ্চায়েত ভিত্তিক অনুমোদন নিয়েও জেলাগুলি ১০৭৮ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারেনি। স্যানিটেশনের ক্ষেত্রেও জেলাগুলিতে পরে রয়েছে ৫৬৭ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। দেখা গিয়েছে,পাঁচ জেলা বরাদ্দ অর্থের ৫০ শতাংশের কম খরচ করেছে। এই জেলাগুলি হল মুর্শিদাবাদ,উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা,পশ্চিম বর্ধমান এবং নদীয়া।
advertisement
পানীয় জল ও স্যানিটেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রকল্পের অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় টাকা থাকার পরও কেন তা খরচ হচ্ছে না-এই প্রশ্নই উঠে এসেছে প্রশাসনিক মহলে। মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের এব্যাপারে বার বার সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশেও স্টেট রুরাল লাইফহুড মিশন বা আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির কাজের অগ্রগতি নিয়েও ক্ষুব্ধ নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আনন্দধারা প্রকল্পে চলতি আর্থিক বছরে নতুন দু’লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যমাত্র বেঁধে দিয়েছিলেন। নভেম্বর পর্যন্ত সেই লক্ষমাত্রার ৫০ শতাংশ পূরণ করতে পারেনি।
advertisement
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
December 20, 2022 10:13 PM IST