আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে অমৃত সরোবর তৈরি করল সেনা
গাড়োপাড়া সংলগ্ন এলাকায় ডিমা, ভাতখাওয়া, রাজাভাত, আটিয়াবাড়ি চা বাগানগুলি আছে। এই এলাকার হাজারের উপর পড়ুয়া রোজ কালচিনি, হাসিমারার বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করতে যায়। কিন্তু কম ট্রেন থাকায় তাদের প্রচন্ড সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কারণ গারোপাড়া স্টেশনে খুব কম ট্রেন দাঁড়ায়। বর্তমানে মাত্র একটি ট্রেনের স্টপেজ আছে। এই ট্রেনটি ইন্টারসিটি, যা ভোর ৫ টায় আসে এই স্টেশনে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই নিত্যযাত্রীদের ওই সময় ট্রেনের কোনও প্রয়োজন হয় না। এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের দাবি, তাদের স্কুল টাইমের দিকে খেয়াল রেখে অন্তত দুটি ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হোক।
advertisement
পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রেন না থাকায় গারোপাড়ার ছেলেমেয়েদের প্রতিদিন বাদুরঝোলা হয়ে গাড়িতে করে কালচিনি, হাসিমারার স্কুলে যেতে হয়। গাড়োপাড়া থেকে কালচিনি যেতে ৩০ টাকা খরচ হয়। হাসিমারা যেতে ৬০ টাকা লাগে। স্বাভাবিকভাবেই চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের ছেলেমেয়েদের পক্ষে এতো বেশি টাকা খরচ করা সম্ভব হয় না। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গেল, লকডাউনের আগে গাড়োপাড়া স্টেশনে তিনটি ট্রেন দাঁড়াত। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখন মাত্র একটি ট্রেন দাঁড়ায়। এই অবস্থায় এলাকার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা সুষ্ঠুভাবে করানোর জন্য গারোপাড়ার মানুষ চাইছে আগের মতো আবার ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হোক।
অনন্যা দে