জানা গিয়েছে, জটেশ্বর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই গরুহাটি। শতাব্দী প্রাচীন এই হাটটিতে সপ্তাহের প্রতি শনিবার গরু বিক্রি ও ক্রয় করতে ওই হাটে আসেন জেলার দূরদূরান্তর থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, বহু প্রাচীন ওই গরুহাটিতে বৃষ্টি হলেই প্রচুর জল জমে যায়। পেটের টানে জলেই গরুগুলিকে দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়।এক একসময় মাথার ওপর চড়া রোদ নিয়েই গরুগুলিকে দাঁড় করাতে হয় জলে। প্রতি সপ্তাহে লক্ষাধিক টাকার বিকিকিনি চলে এই হাটে।
advertisement
আরও পড়ুন - নীল চায়ে চুমুক দেবেন নাকি! 'ব্লু পিয়া টি'-তে মন মজেছে নতুন প্রজন্মের! জানুন
অথচ কোনোরূপ পরিকাঠামো নেই এই হাটে।এই অবস্থায় গরু বেচাকেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরেছে। সংসার তো চালাতে হবে,এইভেবে পেটের দাঁয়ে ওই জলের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকেন গরুহাটিতে আসা ব্যবসায়ীরা।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এভাবে জলে গরুগুলিকে দাঁড় করিয়ে রাখলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে গরুগুলি। আর অসুস্থ গরু কিনতে কোনও ক্রেতা আগ্রহ দেখাবেন না। ব্যবসা এইভাবেই শেষ হয়ে যাবে।অন্যত্র যাওয়ার উপায় নেই। কারণ সহস্রাধিক গরু নিয়ে এই মাঠেই আসা যায়।অন্য জায়গার সন্ধান করতে গেলে সময়ের অপচয় হবে। তার ওপর প্রশাসনের অনুমতি মিলবে কি না তা নিয়ে ধ্বন্দে গরু ব্যবসায়ীরা।ব্যবসায়ীদের দাবি, দ্রুত ওই গরুহাটির জলনিকাশি পরিকাঠামো ঠিক করে রক্ষা করা হোক শতাব্দী প্রাচীন ওই হাটটিকে।
আরও পড়ুন - লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকল প্রতিবেশী এক পুরুষের অ্যকাউন্টে! অবাক কাণ্ড আলিপুরদুয়ারে
জানা যায়,পূর্বে এই গরুহাটিটি ছিল কাছারির।গ্রাম পঞ্চায়েতের এই হাটটিকে কেনার ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই।এই হাটটিকে কেনার মতো টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের নেই।তবুও বিষয়টি জানার পর অবশ্য দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জটেশ্বর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমরেশ পাল।তিনি জানিয়েছেন হাটের স্থানটি দিয়ে একটি নিকাশি নালা তৈরির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে।
অনন্যা দে