বর্তমানে প্রতিটি পর্যটক ভিস্তাডোমে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইছেন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত ভিস্তাডোমের এই বিশেষ ট্রেনে ইঞ্জিনের সঙ্গে দুটি এসি চেয়ারকার, দুটি নন এসি চেয়ারকার এবং একটি ভিস্তাডোম কোচ থাকছে। ৮৪০ টাকা খরচ করেই পর্যটকেরা উপভোগ করতে পারবেন জঙ্গল পাহাড় এবং পাহাড়ি নদীর থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি ভিউ। এর পাশাপাশি থাকছে ভারতীয় রেলের বিলাসবহুল পরিষেবা।
advertisement
সম্পূর্ণ ডিজিটাল দরজা, থ্রি সিক্সটি ডিগ্রী রিভলভিং চেয়ার, আর চারপাশ কাঁচ দিয়ে ঘেরা তারই মাঝখান চেয়ারে বসে ডুয়ার্সের মনোরম পরিবেশের পরিষ্কার দৃশ্য। এনজিপি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন অব্দি ১৬৫ কিলোমিটার পথ পর্যটকদের কাছে অনেকটা স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার মত। দীর্ঘ এই যাত্রায় মাঝখানে পড়ছে মহানন্দা, গরুমারা, জলদাপাড়া এবং বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের মত জঙ্গল। আর রয়েছে পাহাড় এবং সবুজ গালিচার মত চা বাগান। আর প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্যই পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন এই ভিস্তাডোম কোচে বসে।
আরও পড়ুনঃ রাভাদের বিভিন্ন খাবারের পদের সঙ্গে চিলাপাতায় পরিচিত হবেন পর্যটকরা
রেল সূত্রে খবর, দেশ–বিদেশের পর্যটকদের এই ভিড় ও আগ্রহ দেখে এই ট্রেনটির রুট সম্প্রসারণ করার কথা ভাবা হয়েছে। ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনটিকে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে নিউ কোচবিহার স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার জন্য রেল বোর্ডে প্রস্তাব পাঠিয়েছে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ। এখন জয়গাঁ ও চামুর্চিতে ভুটান গেট খুলে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কালচিনিতে অটো দুর্ঘটনায় আহত পাঁচ জন
বহু পর্যটক জয়গাঁ দিয়ে সড়ক পথে ভুটান বেড়াতে যাচ্ছেন। তাই ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট কোচে ডুয়ার্সের জঙ্গল, চা–বাগান, বনবস্তি এবং পাহাড়ি পথের বুক চিড়ে ভ্রমণের আগ্রহ বাড়ছে পর্যটকদের মধ্যে। রাজার শহর কোচবিহার। সেখানে রাজবাড়ি, মদনমোহন মন্দির, সাগরদিঘি–সহ নানা দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তাই রেলের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ভিস্তাডোম কোচে ডুয়ার্স দিয়ে পর্যটকরা কোচবিহারে যেতে পারবেন।
Annanya Dey