শীতের মরশুম হলেও মেলে রংবাহারী প্রজাপতির দেখা।এই প্রজাপতিগুলি রীতিমত নজর কাড়ছে পর্যটকদের। ২০১৭ সালে বনদফতরের উদ্যোগে চালু হয় এই প্রজাপতি উদ্যান। চার একর জমিতে তৈরি হওয়া এই উদ্যান প্রজাপতিদের স্বর্গরাজ্য। এখনও পর্যন্ত ১৪১ প্রজাতির প্রজাপতির দেখা মিলছে এই উদ্যানে বলে দাবি বনদফতরের কর্তাদের। ৭৮ টি প্রজাপতির জীবনচক্র দেখা হচ্ছে মিউজিয়ামে।
advertisement
ব্লু টাইগার, কমন ক্রো, স্ট্রাইপ টাইগার, গ্রেট এগফ্রাই, কমন বার্ড উইং, গ্রে প্যাঞ্জি, পিকক প্যাঞ্জি, চকলেট ডেমনদের মত প্রজাপতির দেখা মিলবে এই পার্কে একঘণ্টা ঘুরলেই। বিগত বছরগুলিতে পার্কে প্রচুর হোস্ট প্ল্যান্ট,নেকটর প্ল্যান্ট লাগানো হয়েছে।এই গাছগুলি প্রজাপতিদের অত্যন্ত প্রিয়।এছাড়াও রয়েছে লেবু, কদম, মুসান্ডা, কারিপাতা, অতশী, এলমেন্ডা, কুফিয়া, রঙ্গন, পাউডার পাফের মত গাছ।
এই গাছগুলি আকৃষ্ট করে প্রজাপতিদের। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে বাহারি পতঙ্গের বৈচিত্র।শীতের সময় তেমন প্রজাপতি দেখা না গেলেও পর্যটকরা নিরাশ হন না। মিউজিয়ামে প্রজাপতির জীবনচক্র দেখানো হয়। তবে শর্ত রয়েছে এক্ষেত্রে। কোনও বাক্সে হাত দেওয়া যাবে না। চুপচাপ দূর থেকে দেখতে হবে।
প্রজাপতি ক্যামেরা বন্দি করতে ভিড় জমান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বন্যপ্রাণী প্রেমীরাও।এর পাশাপাশি, শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য এই রাজ্যের পাশাপাশি, অসম, বিহারের মতো রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলিও এই প্রজাপতি উদ্যানকেই বেছে নিচ্ছেন বলে দাবি বনদফতরের। সেখানে তাদের হাতে কলমে প্রজাপতির জীবনচক্রও দেখান হয়। এ বিষয়ে প্রজাপতি উদ্যানের ইনচার্জ তোমাঘ্ন সেনগুপ্ত বলেন, “প্রজাপতি পার্ক নিয়ে আগামীতে আরও চিন্তাভাবনা রয়েছে। পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রজাপতিরা।”