সুহৃদ মুখার্জি আলিপুরদুয়ারে রাজ্য সরকারের ভূমি অধিগ্রহণ দফতরে চুক্তিভিত্তিক চাকরি করেন। কাজের সময়টুকু বাদে তাঁর ধ্যান-জ্ঞান সবকিছুই ওই ডাকটিকিট জুড়ে। কলেজে পড়াকালীন ১৯৭৩ সালে প্রথম তিনি ডাকটিকিট সংগ্রহ করেন। ধীরে ধীরে ভারতবর্ষ সহ বিশ্বের মোট ৪৩ টি দেশের ৪৬২ টি ডাকটিকিট সংগ্রহ করেন। বর্তমান সময়ে ডাক টিকিটের এমন বিপুল সংগ্রহ সচরাচর দেখা যায় না। তাই এই বিষয়ে নতুন প্রজন্মের যারা উৎসাহী তারা অনেকেই সুহৃদবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সংগ্রহের রাখা ট্যাম্পগুলি দেখেন। তাঁর সংগ্রহে থাকা প্রতিটি ডাক টিকিটের সঙ্গে কোনও না কোনও ইতিহাস বা গল্প জড়িয়ে আছে।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক! দণ্ডী নির্যাতিতা শিউলি মার্ডি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বাজি
বর্তমানে এই প্রখ্যাত ডাক-টিকিট সংগ্রাহকের বয়স ৬৬ টি বছর। কিন্তু ডাকটিকি সংগ্রহে তাঁর যে ঐতিহ্য তা আগামী দিনে বজায় থাকবে কিনা সেটা নিয়ে গভীর সংশয়ে আছেন সুহৃদ মুখার্জি। কারণ স্মার্টফোনের দৌলতে ডাক টিকিট সংগ্রহের মতো শখ ও নেশাগুলি আজ ক্রমশই মুছে যাচ্ছে। কীভাবে তিনি ডাকটিকিট সংগ্রহ করতেন তা জানাতে গিয়ে এই প্রবীণ সংগ্রাহক বলেন, এই শখ তৈরি হওয়ার পর সকলকে বলে রেখেছিলাম কারোর বাড়িতে বিদেশ থেকে চিঠি এলেই আমাকে জানাতে। সেখানে থাকা ডাকটিকিট আমি সংগ্রহ করে নিয়ে আসতাম। তাঁর সংগ্রহে বর্তমানে ভারত ছাড়াও নেপাল, নেদারল্যান্ড, বাংলাদেশ, ইতালি, মিশর, পর্তুগাল, হংকং,পাকিস্তান, ইরাক, ইরান, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, কোস্টারিকা, ব্রাজিল সহ বহু দেশের ডাক টিকিট আছে।
অনন্যা দে