তাই যে কোনও পরিস্থিতিতে বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে ব্লকের যুবক যুবতীদের এই শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কালচিনি ব্লকটি জেলার উত্তর-মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। তোর্ষা নদী ব্লকটির পশ্চিম সীমান্ত বরাবর এবং কালজানি নদী এই ব্লকের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত। এই অঞ্চলের ভূমিরূপ পাহাড়ি, যা উত্তর-হিমালয় পর্বতশ্রেণির অন্তর্গত। কালচিনি ব্লকের পাশেই রয়েছে ভুটান।এই ব্লকের নদীগুলি ভুটানে বৃষ্টি হলেই ফুলেফেঁপে ওঠে। এলাকায় যখন তখন দেখা যায় বন্যা পরিস্থিতি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কালচিনিতে অটো দুর্ঘটনায় আহত পাঁচ জন
জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা কম নেই এই ব্লকে। অনেক সময় জলে কেউ তলিয়ে গেলে তার সন্ধান করতে এনডিআরএফ এর দলকে আসতে হয়।তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। ব্লকের যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যাতে যে কোনও পরিস্থিতিতে তারা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে। বিপর্যয় মোকাবিলা (ডিএম) আইন ২০০৫-এর মাধ্যমে বিপর্যয় মোকাবিলার বিষয়ে জাতীয় নীতি কার্যকর করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বক্সা পাহাড়ের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন বিডিও! কেন জানেন?
একটি সামগ্রিক, একাধিক দুর্যোগ মোকাবিলা ভিত্তিক, প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলা, প্রশমন ও আগাম প্রস্তুতি গড়ে তুলে দুর্যোগ প্রতিরোধী ভারত গঠনের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ প্রথম জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকর করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে এই পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় নিজ নিজ এলাকায় পরিকল্পনা, আগাম প্রস্তুতি, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ ও মানুষের প্রাণহানি রোধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রক/বিভাগকে এই নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
Annanya Dey