সরস্বতী পুজোর আর অল্পদিন বাকি আছে। ২৬ জানুয়ারি বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবে গোটা বাংলা। স্কুল-কলেজের পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় তাই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কচিকাঁচারা চাঁদা তোলা শুরু করেছে। ঠিক তখনই আলিপুরদুয়ারের অসম-বাংলা সীমান্তের বারবিশায় এমন দৃশ্য দেখা গেল।
এই সময় পাড়ায় পাড়ায় দড়ি ফেলে, লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে সাইকেল, বাইক আটকে চাঁদা তোলে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। কিন্তু অনেকেই পরে দেব বলে আর দেন না। ফলে হতাশ হয় বাচ্চারা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারাও নিজেদের আপগ্রেড করেছে। প্রযুক্তির হাত ধরে এবার চাঁদা তুলতে কিউআর কোডের ব্যবহার শুরু করেছে এই খুলে বাহিনী। তবে এই দৃশ্য কলকাতা বা তার আশপাশে নয়, বরং আলিপুরদুয়ারের মত প্রত্যন্ত জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় দেখা গেল। গ্রামের অলিতে-গলিতে কিউআর কোড নিয়ে ঘুরছে তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: বয়সকে থোরাই কেয়ার, ৬৮-তেও আন্তর্জাতিক অ্যাথলিট মিটে সোনা জয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের
আলিপুরদুয়ার জেলার বারবিশার শিবডাঙা কৃষ্ণনগর এলাকার নেতাজি সংঘের বাচ্চারা এইভাবেই এবছর সরস্বতী পুজোর চাঁদা তুলছে। সঙ্গে খুচরো পয়সা বা দশ-বিশ টাকার নোট না থাকলে তারা এগিয়ে দিচ্ছে কিউআর কোড। যে যাই দিচ্ছে খুশি হয়ে ওই খুদেরা তাই গ্রহণ করছে। কিন্তু কেউ কিছু না দিয়ে চলে যাবে সে উপায় নেই! এই চাঁদার টাকা জমা হচ্ছে ওই খুদেদেরই একজনের মায়ের অ্যাকাউন্টে। পুজোর আগে সেখান থেকে টাকা তুলে হবে বাগদেবীর আরাধনা। অল্প বয়সী শিশুদের এই ভাবনা বুঝিয়ে দিচ্ছে সময়টা সত্যিই অনেক এগিয়ে এগিয়েছে!
অনন্যা দে





