আর্সেনিক আধ্যুষিত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত মালদহের কালিয়াচকের তিনটি ব্লক। এই অঞ্চল গুলিতে আর্সেনিকমুক্ত পরিস্রুত পানীয় জল পরিষেবা পৌঁছে দিতে তৈরি করা হয়েছে পানীয় জলের প্ল্যান্ট। অধিকাংশ এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল পরিষেবা পৌঁছালে ও এখনো কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের সিলামপুর পঞ্চায়েতের খালতিপুর গ্রামে পৌঁছায়নি আর্সেনিক মুক্ত পরিস্রুত পানীয় জল পরিষেবা৷ তার জেরে বিষ জল পান করছেন এলাকার মানুষ। টিউবওয়েল জল থেকে আয়রন বের হচ্ছে। সেই আয়রন জলই বালিতে ফিল্টার করে খেতে হচ্ছে এলাকার মানুষদের। বালির মধ্যে জল রাখা হচ্ছে । সেই জল ফিল্টার করে অন্য পাত্রে রেখে তারপর সেই জল খাচ্ছেন এলাকার মানুষ।
advertisement
পানীয় জলে আর্সেনিকের পরিমাণ এতটাই বেশি সাদা বালিও লাল হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসক এমনকি পঞ্চায়েতকে বহুবার জানানো হলো আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের কোন ব্যবস্থা হয়নি এলাকায়। এলাকার মানুষের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আখতারুল হক বলেন, আমাদের গ্রামে আর্সেনিক মুক্ত পরিশ্রুত পানি জল পরিষেবা এখনো পৌঁছায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমাদেরকে আর্সেনিকযুক্ত জল পান করতে হচ্ছে। এই জল পান করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। প্রশাসনকে বহুবার আমরা জানিয়েছি কিন্তু সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। আর্সেনিক যুক্ত জল পান করে গ্রামের বহু মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই জল পান করে পেটের অসুখ থেকে শুরু করে শরীরের নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে গ্রামের বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: রবিবার চৌপথীতে ঝাঁপ খুলব... কেন এমন বললেন উদয়ন গুহ ?আরও পড়ুন: রাজ্যে এবার তৈরি হবে হেলিপোর্ট! বাছাই করা হল তিন জেলা
এই বিষয়ে কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের বিডিও সেলিম হাবিব সরদার বলেন, কালিয়াচকের তিনটি ব্লক আর্সেনিক আধ্যুষিত এলাকা। এখানে আর্সেনিক বিভাগ বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে, আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের দাবিতে। বিষয়টা আমি ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।
হরষিত সিংহ