জয়গাঁ ও সংলগ্ন এলাকাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদ। এর মধ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে কয়েকটি কাজ। বাকিগুলি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।তবে উল্লেখযোগ্য কাজগুলি হল যোগিখোলা ও গোবরজ্যোতি নদীতে প্রটেকশন ওয়াল এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প রক্ষার্থে প্রোটেকশন ওয়াল। ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকা জয়গাঁ ও তার পার্শবর্তী এলাকায় সার্বিক উন্নয়নের জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্ৰহণ করেছে জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদ। ইতিমধ্যে জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অন্তর্গত জয়ঁগা দুই, জয়ঁগা এক ও দলসিংপাড়া এই তিনটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায় নয়টি কাজ চলছে। আরও বেশ কয়েকটি কাজের পরিকল্পনা করে ইতিমধ্যে রাজ্যের কাছে পাঠিয়েছে জয়গাঁ ডেভলপমেন্ট অথরিটি।
advertisement
১০ টি নতুন কাজের কথা হয়েছে।তবে বর্তমানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে।বর্তমানে জয়গাঁ খোকলাবস্তি এলাকায় ভারত ভুটান সীমান্তে প্রোটেকশন ওয়াল নির্মাণ কাজ চলছে। যোগীখোলা, গোবরজ্যোতি নদী এলাকায় প্রোটেকশন ওয়ালের কাজ চলছে। জয়গাঁ সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের সামনে প্রোটেকশন ওয়াল নির্মাণ কাজ চলছে।জানা গিয়েছে প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা প্রটেকশন ওয়াল তৈরি হচ্ছে তিন স্থানে। যাতে কোনোভাবে নদীর জল প্রবেশ করতে না পারে এলাকায়।খোকলাবস্তি ও রাইগাও এলাকার ত্রাস বর্ষার সময় গোবরজ্যোতি ও যোগিখোলা নদীগুলি। এই নদীগুলির জল ঢুকে যেত এতদিন গ্রামগুলিতে।বেড়ে যেত সমস্যা। কাদা জল ঘর থেকে পরিষ্কার করা তো রয়েছে। পাশাপাশি এই নদীগুলি কেড়ে নিয়েছে এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাদের জমি ও সুপরি বাগান।যা এলাকাবাসীদের জীবিকায় টান এনে দিয়েছিল। সমস্যা সমাধান সকলেই চাইছিলেন। এবারে সেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে জে ডি এ-র হাত ধরে।
এই বিষয়ে জয়গাঁ ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানান, “নদী ভাঙনের ওপর গুরুত্ব আমাদের বেশি। সারা বছর এই নদীগুলো শুকনো থাকে কিন্তু বর্ষা এলেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। শুধু বর্ষা নয় বছরের যে কোন সময় ভারী বৃষ্টি হলে নদীগুলি আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তখন নদীর জল এলাকায় প্রবেশ করে। এভাবে অনেকেই ভিটামাটি হারা হয়েছেন। এই ঘটনা যাতে আবারও ঘুরে ফিরে না আসে তার জন্য প্রোটেকশন ওয়াল।”
Annanya Dey