এই সেতুর দাবি বাম আমল থেকে। কিন্তু তা পূরণ হল না দিদির সরকারের ১১ বছর পরেও। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাম আমলে তাঁদের কথায় কর্ণপাত করেননি বাম নেতারা। তবে তৃণমূল সরকারের আমলে কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে এলাকর। তাঁদের দাবি শুনে পাকা সেতু তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সকলেই। কিন্তু ভোট মেটার পরও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। যদিও মাঝে দু'বার ইঞ্জিনিয়ার এসে নদীর দুই ধারে মাপজোক করে গেছেন। এত বছরে গ্রামবাসীদের প্রাপ্তি বলতে এইটুকুই।
advertisement
আরও পড়ুন: গাঁদা চাষে ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়েছে কৃষকের, বিঘা প্রতি লাভ লক্ষ টাকার বেশি!
স্থানীয়দের দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলা পরিষদের বর্তমান সভাধিপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন গ্রামে প্রবেশের মুখে রতনঝোরা নদীর উপর সেতু তৈরি করে দেবেন। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেল সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি। ফলে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের মাঝের ডাবরি বিষ্ণুনগর গ্রামের মানুষকে বর্ষাকালে নরম যন্ত্রণা ভোগ করেই চলাফেরা করতে হচ্ছে। এখানকার মাটি ভাল, ফসল ফলে প্রচুর। কিন্তু সে ফসলের সঠিক দাম পান না কৃষকরা। কারণ বর্ষায় সেতু না থাকায় উত্তাল নদী পেরিয়ে সঠিক সময়ে বাজারে পৌঁছতে পারেন না তাঁরা। রাতে অসুস্থ রোগী মারা যায় বিনা চিকিৎসায়। চাকরির পরীক্ষা বা স্কুল-কলেজে সময়মত পৌঁছতে পারে না গ্রামের ছেলেমেয়েরা। অনেক সময় নৌকা ডুবির ঘটনাও ঘটে এখানে। শীতের সময় নদী শুকিয়ে গেলে তার মধ্যে দিয়েই যাতায়াত চলে। কিন্তু বর্ষায় দু'কুল ছাপিয়ে প্রবাহিত হয় রতনঝোরা নদী। তখন দুর্ভোগের শেষ থাকে না গ্রামবাসীদের।
অনন্যা দে