পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত ওই ব্যক্তির নাম কাজল সরকার তার বাড়ি কুমারগ্রাম ব্লকের পাকড়িগুড়ি এলাকায়। কাঠগুলি অসম থেকে এ রাজ্যে হয়ে পাচার করা হচ্ছিল পুলিশের অনুমান। আবার বড়সড় সাফল্য আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ। জানা গেছে মোট সাড়ে ১০ সিএফটি সাদা চন্দন কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয় যার বাজার মূল্য সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা। ধৃতকে আদালতে তোলা হবে। জিঞ্জাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হবে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নতুনভাবে সেজে উঠছে ফালাকাটার সরকারি বাস স্ট্যান্ড, খুশি যাত্রীরা
গত বছর রক্ত চন্দনকাঠ পাচার চক্রের বড় কারবার ফাঁস হল এসএসবি ও বনদফতরের যৌথ অভিযানে। ভারত-ভুটান আর্ন্তজাতিক সীমান্তে ফের সক্রিয় রক্তচন্দন কাঠের অবৈধ পাচার চক্র। ভুটানে পাচারের আগেই রক্তচন্দন কাঠ সহ গ্রেফতার হয় এক অভিযুক্ত। আলিপুরদুয়ার জেলার ভারত-ভুটান সীমান্ত লাগোয়া বীরপাড়া থেকে উদ্ধার ৫ কুইন্টাল রক্ত চন্দন কাঠ। জানা যায়,বছর পাঁচেক আগে পঙ্কজ থাপা বীরপাড়া থানার ওসি থাকাকালীন দুই দফায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার চন্দন কাঠ বাজেয়াপ্ত করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ সাইকেলে আলিপুরদুয়ার থেকে কেদারনাথ রওনা যুবকের
ভারত-ভুটান সীমান্তের বীড়পাড়াকে কড়িডোর করেই দীর্ঘদিন ধরে ভুটানে পাচার করা হতো এই চন্দনকাঠ। আলিপুরদুয়ার জেলায় চন্দন কাঠের পাচারচক্রের একটি শেকড় যে বীরপাড়া থানার ওই এলাকায় এখনও রয়েছে শনিবার ফের তা প্রকাশ্যে এল। যদিও কয়েক বছর বাদে ফের রক্তচন্দন কাঠের অবৈধ পাচারকান্ড সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও বনদফতর। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভারত-ভুটান সীমান্তের এলাকায় কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। পাচারকান্ডের মুল পান্ডার নাগাল পেতে ধৃতকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, বনদফতর এবং জেলা প্রশাসন।
Annanya Dey