বাসিন্দারা ফের সেতু নির্মানের দাবি জানিয়েছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগবিভিন্ন প্রয়োজনে দিনে এক দু'বার শামুকতলা আসতেই হয়। জেলা শহর বা ব্লক অফিস, থানা বা অন্য যে কোন জায়গায় যেতে হলে শামুকতলা আসতেই হবে। শামুকতলায় আসার সহজ পথ এটি। কিন্তু সেই রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ধারসী নদী। সেতু না থাকায় নদী পারাপারের বর্ষায় ভরসা নৌকা। শুখা মরশুমে বাঁশের অস্থায়ী সেতু।বর্ষায় নদী ফুলে ফেঁপে উঠলে বিপদ হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হয় অন্তত দশ হাজার মানুষকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ করম পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা জেলার বিভিন্ন এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়
এতেই দুর্ভোগে পড়েছেন আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের উত্তর মহাকালগুড়ি, কোহিনূর ও ধওলা চা বাগান চা বাগান, ডাঙ্গি, তুরতুরি এবং শামুকতলা এলাকার এক বড় অঙ্কের মানুষকে। এই সমস্যা মেটাতে ধারসী নদীর শামুকতলা মাছহাটির পাশে ছটপুজা ঘাটে সেতু নির্মানের বার বার আশ্বাস মিললেও সেতু নির্মানের উদ্যোগ দেখা যায়নি আজও। তাঁদের অভিযোগ ঘুর পথে অন্তত ছয় কিলোমিটার পথ ঘুরে তবেই শামুকতলা আসতে পারেন ওই এলাকার বাসিন্দারা । বিশেষ করে কৃষি পণ্য আনা নেওয়ার এবং মুমূর্ষ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পড়তে হয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুনঃ ফালাকাটার ধুলাগাঁও-তে আগুনে ভস্মীভূত দুটি দোকান
দুই দশক ধরে ধারসী নদীর উপর সেতুর দাবি জানালেও সে দাবি পূরণ হচ্ছে না। তাঁদের অভিযোগ ভোট আসলেই শুধু প্রতিশ্রুতি মেলে সেতু আর নির্মান হয় না। এলাকার বাসিন্দারা জানান, সেতু নির্মানের জন্য সর্বত্র দাবি জানানোর পর প্রশাসনের শুধু আশ্বাস মিলেছে। দ্রুত সেতু নির্মান না হলে আমরা বড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। প্রয়োজনে আমরন অনশন ও করব। পঞ্চায়েতের কথায় প্ল্যান এস্টিমেট সহ সেতু নির্মানের দাবি জেলায় জানানো হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জানান হয়েছে জয়েস ব্রীজ নির্মানের ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেটি যাতে দ্রুত নির্মান করা যায় তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
Annanya Dey