এ বিষয়ে অর্জুন ছেত্রী জানান, "দোকানঘর নতুন করে তৈরি করতে হবে। এলাকায় এত হাতির হানা ছিল না।হঠাৎ করেই বেড়েছে ঘটনাগুলো। বনকর্মীরা রাত করে টহল দিলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হবে না। আজ আমার দোকানঘর ভেঙেছে। এরপর অন্য কারও দোকানঘর ভাঙবে হাতি।" জানা যায়, ঘটনাস্থলে হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের বনকর্মীরা এসেছিলেন। বনদফতরের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর আগেও রাতভর বৃষ্টির সুযোগে এলাকায় তাণ্ডব চালায় একদল বুনো হাতি। ঘটনাটি ঘটে দলসিংপাড়ার বিভিন্ন এলাকায়। ইদানিং এই অঞ্চলে লাগাতার হাতির হানার ঘটনা ঘটায় চিন্তিত সকলেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফের হাতির হানায় মৃত্যু আলিপুরদুয়ারে! এবার বীরপাড়া সরুগাঁও এলাকায়
দিন প্রতিদিন এলাকায় হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। খোকলাবস্তি ও দলসিংপাড়ায় হাতির হানার ঘটনা ঘটে অগাস্ট মাসের শেষের দিকে। জানা যায়, বক্সার জঙ্গল থেকে হাতিগুলি বেরিয়ে এসে তাণ্ডব চালায় এলাকায়। হাতি হানায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দলসিংপাড়া নয়ালাইন এলাকার বাসিন্দারা। ভোর সকালে এক দল হাতি বক্সা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দলসিংপাড়া নয়া লাইন এলাকায় প্রবেশ করে। হাতি এলাকার বাসিন্দা গোপাল লামা, বিষ্ণু তুরি ঘর সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত করে। মনে লামা রান্নাঘর পুরোপুরি ভেঙ্গে দেয়। এলাকাবাসীরা সেসময় জানিয়েছিলেন, "মাঝেমধ্যে হাতির দল দলসিংপাড়া এলাকায় প্রবেশ করে। বন দফতরের পক্ষ থেকে এলাকায় টহলদারি দেওয়া হয় না। যার জন্য এই ঘটনা ঘটছে।"
আরও পড়ুনঃ সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রয়াত বঙ্গরত্নের স্ত্রী
অপরদিকে হাতি হানায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি পরিবার। ঘটনাটি ঘটে খোকলাবস্তি এলাকায়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে বুনো হাতি এলাকায় প্রবেশ করে এলাকার বাসিন্দা পিয়ালি ওরাঁও এর ঘর ভেঙ্গে দেয় এবং ঘরে রাখা রেশন সামগ্ৰী সাবার করে দেয়। পরবর্তীতে হাতিটি দেওরালি লাইন এলাকায় গঙ্গা থাপা বাড়িতে হানা দেয় এবং তার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত করে। অবশ্য ঘটনাস্থলে গিয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা ও রাঙামাটি বীট অফিসার স্বীকার করেছিলেন টহলদারি না দেওয়ার বিষয়টি। বীট অফিসে টহলের জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি নেই বলে জানা গিয়েছে বনদফতরের তরফে। তবে সরকারি নিয়মে আবেদন জানালে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল।
Annanya Dey