স্থানীয় বাসিন্দারা ও হাসিমারা ফাঁড়ির পুলিশ জখম অবস্থায় খোজ ছেত্রিকে উদ্ধার করে নিকটতম হাসিমারা এয়ারফোর্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। জানা যায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। সোমবার হাসিমারা ফাঁড়ির পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় প্রায় একই এলাকাতে ঘটে আরেকটি দুর্ঘটনা। বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। পরপর দুদিন ভুটানগামী এশিয়ান হাইওয়েতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর ঘটনায় এলাকায় পুলিশের টহলদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ধুলোয় অতিষ্ঠ হয়ে ফালাকাটায় পথ অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের
দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার কয়েক হাত দুরে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের একটি ক্যাম্প। কিন্তু সেই ক্যাম্পে পুলিশদের দেখা খুব কম পাওয়া যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ইদানিং এই এলাকা দিয়ে প্রতিটি গাড়ি খুব দ্রুতগতিতে চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি ভুটানগামী পণ্যবাহী ট্রাকগুলি পার্কিং করে রাখে যেখানে সেখানে। রাতের বেলায় কোনও ইন্ডিকেটর রাখে না ট্রাকগুলি। যার ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এশিয়ান হাইওয়ে তৈরি হওয়ার পর স্পিড মিটার নিয়ে পুলিশদের তৎপরতা দেখা যেত। কিন্তু যত দিন গিয়েছে ততই তৎপরতা কমেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার শিক্ষকের মহানুভবতা! দুঃস্থদের সেবাতেই আনন্দ তাঁর
পুলিশের উপস্থিতি না দেখে গতি বাড়িয়েছে প্রতিটি গাড়ি। যার খেসারত দিতে হচ্ছে পথচারী থেকে শুরু করে এলাকাবাসীদের। পরপর দুর্ঘটনা বাড়তে থাকায় এবারে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে ভয় পাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। এলাকায় পুলিশের টহলদারি চালানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। ট্রাফিক আইন যেসব গাড়ি মেনে চলছে না সেসব গাড়ির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন তারা। ফের এশিয়ান হাইওয়েতে স্পিড মিটার পুলিশের তরফ থেকে না বসলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসীরা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যেখানে নিজে সঠিকভাবে গাড়ি চালালেও অপর দিক বা পেছন দিক থেকে আসা গাড়ি কিভাবে চলছে তা জানা মুশকিল হয়ে যায় সকলের পক্ষে।
Annanya Dey