ঘটনার পর পুলিশ ও বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে অবশ্য দেহটি উদ্ধার করে বীরপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বন দপ্তরের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের দলগাঁও রেঞ্জের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এর আগেও জুনমাসের মাঝামাঝি সময়ে,আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের সরুগাঁও চা বাগান এলাকায় হাতির হানার ঘটনা ঘটে গভীর রাত করে। একপাল হাতি হানা দেয় ওই এলাকায়।
advertisement
সারা রাত গোটা এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে এখনও এলাকা ছাড়েনি ওই হাতির পালটি। বৃষ্টি শুরু হতেই হাতির হানার ঘটনা ঘটছে আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন ব্লকে। সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লকের শতাধিক মানুষ। গত মে মাসে হাতির হানার ঘটনা খুব কম হলেও, জুন মাস পড়তেই প্রতিরাতে লোকালয়ে হানা দিচ্ছিল হাতির দল। অগাস্ট মাসে এই এলাকায় হাতির হানার ঘটনার খবর না মিললেও, ফের এই এলাকায় শুরু হয়েছে হাতির হানা।
আরও পড়ুনঃ সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রয়াত বঙ্গরত্নের স্ত্রী
যা নিয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। ঘরবাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি,ভুট্টা ক্ষেতে তাণ্ডব চালাচ্ছে হাতির দল। এভাবে হাতির হানার ঘটনা ঘটতে থাকলে,মৃত্যু হবে একের পর এক গ্রামবাসীর বলে আশঙ্কা সকলের। বনদফতরের কাছে রাতে টহলদারীর আর্জি এলাকাবাসীদের। অন্যদিকে, হাতির হানা অব্যাহত কালচিনি এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি ঘর ও খেলো ২৫ কেজি চাল, এই ঘটনা ঘিরেই বুধবার চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। ঘটনাটি কালচিনি ব্লকের গোদামডাবরী এলাকার।
আরও পড়ুনঃ হাতি মানুষ সঙ্ঘাত রুখতে উদ্যোগী বনদফতর, রাজাভাতখাওয়াতে কর্মশালার আয়োজন
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে জঙ্গল থেকে একটি হাতি লোকালয়ে প্রবেশ করে এবং গোদামডাবরী এলাকার বাসিন্দা ৮২ বর্ষীয় প্রবীণ সিরিয়াল ব্যাকের বাড়িতে হানা দেয়। একটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ঘরে থাকা ২৫ কেজি চাল হাতিটি খেয়ে নেয়। এ বিষয়ে এলকার বাসীরা জানান, 'সিরিয়াল ও তার স্ত্রী একাই থাকেন বাড়িতে। তাদের অনেক বয়সও হয়েছে, তাই যখন হাতি তাদের বাড়িতে হানা দেয় তখন তারা ঘরেই ছিলেন। এরপর আমরা গ্রামবাসীরাই হাতিটিকে কোনোমতে জঙ্গলে পাঠাতে সক্ষম হই।'
Annanya Dey