আরও জানা যায় এক সময় মাটির প্রতিমায় পুজো হত। পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালে স্থায়ী মন্দিরে রাজস্থানের এক পূণ্যার্থী দান করেন পাথরের প্রতিমা। তখন থেকেই পাথরের মূর্তিতে হয়ে আসছে পুজো । মন্দিরে প্রতিদিন ভক্তরা ভিড় করে দূরদূরান্ত থেকে, চলে প্রতিদিন নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে বলি প্রথা মেনে পুজো।মন্দিরে একজন স্থায়ী পুরোহিতের পাশপাশি দেওশি বলে আরো একজন সর্বদা থাকেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আহত অবস্থায় একটি হরিণকে মাদারিহাট থেকে উদ্ধার করল বন দফতর
মূলত দেওশির কাজ প্রতিদিনের পুজোতে জোগাড় করে দেওয়া। ভক্তদের ভীড় সামাল দিয়ে তাদের পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। করোনা পরবর্তীতে কালী পুজো নিয়ে আলাদা উন্মাদনা দেখা যায় তার মধ্যেও। মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছেন,দেবী খুবই জাগ্রত।যা মানত করা হয় তাই পাওয়া যায় বলে ভক্তরা ছুটে আসেন বারবার। তবে এলাকাবাসীর বাড়তি একটা উন্মাদনা থাকা মন্দিরের বাৎসরিক কালি পুজো নিয়ে। সেই সময়ে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা থাকে না সুবিশাল মন্দির চত্বরে।
আরও পড়ুনঃ অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেল আলিপুরদুয়ারের পুরনো বাজার
করোনা পরিস্থিতিতে কোভিড প্রোটোকল মেনে মাঝের দু বছর শুধু পুজো হলেও মেলা হয়নি। তবে এই বছর সাতদিন ব্যাপী মেলা হবে বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটি। এই ঐতিহ্যবাহী মেলাতে মেতে ওঠেন কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি প্রতিবেশি রাজ্য অসমের মানুষেরা অংশ নেন এই মেলাতে।
Annanya Dey