কার্তিকের চতুর্থী তিথিতে এবারে পালিত হচ্ছে করবা চৌথ উৎসব। এই উৎসবে চন্দ্র দেবতার পুজো করা হয়। দেবতার উদ্দেশ্যে জল অর্ঘ্য দিয়ে তারপর স্বামীর মুখ দেখে ভাঙতে হয় উপোস। করবা চৌথ পালন করেন বিবাহিত মহিলারা। এদিন মহিলারা বিয়ের শাড়ি,লেহেঙ্গার সঙ্গে গয়না পড়েন। ১৬ শৃঙ্গার করে এই উৎসবে যোগদান করেন। ভোরে উঠে খাওয়ার পর সারাদিন নির্জলা উপোস থেকে রাতে চাঁদ দেখে পুজো করে ব্রত ভাঙেন মহিলারা। এই ব্রত অন্যতম কঠিন ব্রত। পাশাপাশি খরচও আকাশছোঁয়া। তবুও স্বামীর মঙ্গলকামনায় এই ব্রত পালন করেন স্ত্রী-রা।
advertisement
আরও পড়ুন:হ্যামিল্টনগঞ্জের অন্যতম প্রাচীন কালী পুজোর শুরু ইউরোপীয়দের হাত ধরে, এই ইতিহাস জানলে অবাক হবেন
রাতে চাঁদ দেখার পর স্বামীর মুখ দেখতে হয়। স্বামীরা জল খাওয়ানওর পর উপোস ভাঙেন স্ত্রী-রা। রীনা দেবী নামের এক করবা চৌথ ব্রতী জানান,”শাশুড়ি মায়ের থেকে এই ব্রত পেয়েছি। সারাদিন জলটুকু গ্রহণ করি না। রাতে চাঁদ কখন দেখা যাবে তা নিয়ে আলাদা রকমের উত্তেজনা কাজ করে। চাঁদ দেখে নিলেই পুজো শুরু হয়। স্বামীর মুখ চালনি দিয়ে দেখার পর তার কপালে টিকা পড়িয়ে পুজো শেষ করি। এরপর স্বামী জল খাইয়ে, মিস্টিমুখ করানোর পর ব্রত ভঙ্গ হয়।” অবাঙালি মহিলাদের এই করবা চৌথের ব্রত দেখতে এদিন কালচিনি,হ্যামিল্টনগঞ্জে হাজির হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। এই অনুষ্ঠানটি অন্যতম রঙীন অনুষ্ঠান বলে পরিচিতি পেয়েছে।
Annanya Dey