বিদ্যালয়ে কোনো হস্টেল না থাকায় প্রত্যন্ত বনবস্তি, দূরগম বক্সা পাহাড় ও দূর দূরান্ত থেকে আগত পড়ুয়াদের খুবই সমস্যা পোহাতে হয়। অবশেষে হোস্টেল তৈরি হ ওয়ার কাজ শুরু হওয়ায় খুশির হাওয়া স্কুল জুড়ে। ইতিমধ্যে কালচিনি বিডিও ও ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার স্কুলে যান। কোন জায়গায় হোস্টেলটি গড়ে উঠবে, সেই জায়গাটি চিহ্নিত করেন। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান 'এই হোস্টেল হলে চা বলয়ের পড়ুয়াদের অনেক সুবিধা হবে। অনেক প্রত্যন্ত এলাকা থেকে পড়ুয়া এখানে আসেন, তাদের সুবিধা হবে।'
advertisement
আরও পড়ুনঃ কাপড়ের দোলনায় গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু এক শিশুর!
তিনি আরও জানান, "স্কুলে অধিকাংশ পড়ুয়া প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়া। ব্লকটিতে নেপালি ভাষাভাষির মানুষ থাকায় তারা এই স্কুলটিতে পড়ার লক্ষ্য নিয়ে থাকেন। ভর্তির সময় পরিকাঠামো তেমন না থাকায় অনেককে ফিরিয়ে দিতে হয়। আবার অনেক সময় দেখা গিয়েছে অনেক পড়ুয়া দুরত্বের কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। এবারে এই সমস্যার সমাধান মিলবে।"
আরও পড়ুনঃ রাভাদের বিভিন্ন খাবারের পদের সঙ্গে চিলাপাতায় পরিচিত হবেন পর্যটকরা
বক্সার গ্রামগুলি থেকে পড়ুয়ারা নীচে নেমে আসে এই স্কুলের জন্য। দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদের কাছে তেমন অর্থ নেই এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে পড়ার মতো। তাই ভোরে তারা পাহাড় থেকে নেমে স্কুলে পড়তে আসে। আবার সন্ধ্যে নামার আগে পা চালিয়ে পাহাড়ে উঠে যায় তারা। এই পড়ুয়াদের সংখ্যা পঞ্চাশ জনের কম নয়। তাদের কথা চিন্তা করেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্লক প্রশাসনের কাছে আর্জি রেখেছিল হস্টেলের। দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি সকলেই।
Annanya Dey