বিএমওএইচ সুভাষ কুমার কর্মকার জানান, "সবার মিলিত প্রয়াসেই ডেঙ্গি মোকাবেলা সম্ভব হয়েছে। ডেঙ্গিমুক্ত ব্লক গড়া সম্ভব হয়েছে। তবে এখানেই থেমে গেলে চলবে না। অভিযান চলতেই থাকবে। স্বাস্থ্যকর্মী ও গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের বলা হয়েছে অভিযান চালিয়ে যেতে। শ্রমিক মহল্লার ঘরে ঘরে গিয়ে খোঁজ নিতে।" পুজোয় কালচিনি বিডিও-র উদ্যোগে এই সহায়তা শিবির বসেছিল। পুজো প্যাণ্ডেলে প্রবেশের মুখে থার্মাল গান দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে। এরপর কেউ যদি ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে আসেন তাকে শিবিরেই ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাতির হানায় আতঙ্কিত গোপালবাহাদুরবস্তি এলাকার বাসিন্দারা
সেখান থেকেই জানিয়ে দেওয়া হবে ডেঙ্গি হলে কি কি করণীয় সে বিষয়ে। এই প্রথম সরকারি তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। ব্লকবাসীদের সুরক্ষার কথা ভেবে এই উদ্যোগ নেন বিডিও। ডেঙ্গি পরীক্ষা যথেষ্ট ব্যয়বহুল তাই সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্লক ডেঙ্গিমুক্ত রাখা প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছিলেন বিডিও। সম্প্রতি কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণ পরিদর্শনে করেন এই এলাকায়। তিনি এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের পরিস্কার থাকার পরামর্শ দেন। নিকাশি নালা পরিস্কার রাখার নির্দেশ দিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতকে।
আরও পড়ুনঃ দু'বছর পর খরা কাটিয়ে আলিপুরদুয়ারের বাজার জুড়ে লক্ষ্মী প্রতিমা
কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুসারে, ২০১৯-এ কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল জয়গাঁ এলাকায়। কালচিনি ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২২২৮ জন। জয়গাঁ এলাকাতেই ২২০০জন আক্রান্ত হয়েছিল। দুজনের মৃত্যু হয় জয়গাঁতে। ২০২০তে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমে ২১ জনে। ২০২১ সালে ৬৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মেলে কালচিনি ব্লকে। ২০২২ সালে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই সংখ্যা যাতে আরও বৃদ্ধি না পায় সেদিকে নজর রয়েছে কালচিনি ব্লক প্রশাসনের।
Annanya Dey