এলাকার এক বাসিন্দা আবু হোসেন জানান, "বেশ কয়েকদিন থেকে এই ক্ষতি হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে জল বেড়ে আবার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে । বাসিন্দারা জানান ভুটান পাহাড় থেকে প্রবল স্রোতে জল নেমে এসে এই এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি করে । ভুটান পাহাড়ের জলে গার্ড ওয়াল ভেঙ্গে ক্রমাগত ভাঙ্গন হচ্ছে।" গ্ৰামবাসীদের আশঙ্কা যদি শীঘ্রই ব্যবস্থা না নেওয়া যায়, তাহলে পুরো এলাকা ঝর্ণা ঝোরার ভাঙ্গনে বিলীন হতে বেশি সময় লাগবে না। প্রায় রোজই এলাকায় ভাঙন চলছে ঝর্না ঝোরার জলে। তবুও প্রশাসনের তরফে কেউ আসছে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মধু চা বাগানে শ্রমিক মহল্লায় ঘরে ঘরে অজানা জ্বর, এলাকায় আতঙ্ক
পুজোর ছুটি চলছে তারা জানেন, কিন্তু এগুলো মেনে নেওয়া যায় না বলে জানান এলাকাবাসীরা। জলপাইগুড়ির মালবাজারে হড়পা বানে প্রাণহানির খবরের পরেও জয়গাঁর হড়পা বান পরিস্থিতির খবর পেয়ে কেন চুপ প্রশাসন? প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীরা। ঝর্ণা বস্তির রাস্তা পাঁচশো মিটার চওড়া। ঝোরার ভাঙনে একশো মিটারের ওপরে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। আফসানা বিবি নামের এক এলাকাবাসী জানান, "ভোট চাইতেই আসেন নেতারা। এলাকায় জল বেড়ে গিয়ে রাস্তা ভেঙে পড়ছে সেদিকে কারও হুঁশ নেই। এই এলাকায় পাকা বাঁধ না দিলে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।"
আরও পড়ুনঃ অক্টোবরে ডেঙ্গি শূন্য কালচিনি ব্লক! ঘোষণা স্বাস্থ্য আধিকারিকের
রশিদ মিয়াঁ নামের অপর এক এলাকাবাসী জানান, "গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে পাকা বাঁধের আশ্বাস দিয়ে ভোট নেওয়া হয়। ভোট পেরলেই আমাদের কথা কারও মনে থাকে না। প্রায় একশ মিটার রাস্তা নেই। নদীর জলে সব শেষ। এগুলো কেউ দেখছে না।" যদিও এ বিষয়ে জয়গাঁ দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Annanya Dey