সেসময় মন্দির প্রাঙ্গন হয়ে ওঠে আড্ডাখানা। পুজোর পাশাপাশি রঙীন যুবক, যুবতীদের হাসি, আড্ডা সব যেন মিলেমিশে উৎসবের মাত্রা আলাদা করে তোলে। মন্দির কমিটির সদস্যদের মতে পুজোর কটা দিন যদি একশ চল্লিশ জন কোনও একবেলা মন্দিরে আসেন। তার মধ্যে একশ জন থাকে যুবক,যুবতী। সকলেই যে আলিপুরদুয়ার শহরের বাসিন্দা এমন নয়। শহরের বাইরের ছেলে মেয়েরা চলে আসে এই মন্দিরে। করোনার কারণে গত দুবছর পুজোতে যুবক,যুবতীদের ভীড় না থাকায় ফ্যাকাশে মনে হয়েছিল পুজো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে সচেতনতার বার্তা নিয়ে হাজির আলিপুরদুয়ারের পুজো কমিটি
সেসময় মন্দির কমিটির সদস্যরা সুরক্ষার্থে মন্দির চত্বর বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে গিরেছিলেন। এবারে এরকম কোনও ব্যাপার নেই। তাই দর্শনার্থীদের ভীড় মন্দিরে উপচে পড়বে বলে তারা আশাবাদী। আলিপুরদুয়ার দুর্গাবাড়ির পক্ষ থেকে জানা যায়, অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দিতে দুর্গাবাড়িতে ৩০০০ এর বেশি মানুষ আসে । দশমীর দিন প্রায় ৫ হাজার বেশি মানুষের সমাগম হয়। অষ্টমীর ভোগ নিতে কাড়াকাড়ি পরে যায় বলে জানা যায়।
আরও পড়ুনঃ কালো জগতের আলো, এই থিমেই মজেছে আলিপুরদুয়ারের দত্তপাড়া
দেবীকে দর্শনার্থীরা অষ্টমীতে সন্দেশ ভোগ দেন। এছাড়াও মন্দিরের পক্ষ থেকে দেবীকে খিচুড়ি,ভাজা সহ নানান ব্যঞ্জন নিবেদন করা হয়। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে এই ভোগ বিক্রি করা হয়। যা থেকে প্রায় দু'লক্ষ টাকা মন্দিরের কোষাগারে জমা হয়। অষ্টমীর অঞ্জলি সাত থেকে আটবার করিয়ে শেষ করা হয়। সন্ধ্যে বেলায় আরতি দেখতে ভীড় জমান দর্শনার্থীরা। দশমীর পর মন্দিরে বিজয়ার মিষ্টি মুখের আয়োজন করা হয়।
Annanya Dey