আরও পড়ুন: হিঙ্গলগঞ্জে চালু স্মার্ট মিটার- ‘যেমন পয়সা তেমন বিদ্যুৎ’ পরিষেবা
ঘটনা হল গতবারের মত এবারেও ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি জানিয়েছেন চা বাগানের শ্রমিকরা। প্রতিটি শ্রমিক সংগঠন সেই দাবিকে সমর্থন করেছে। এদিকে মালিকপক্ষ কিছুতেই ৮.৫০ শতাংশের বেশি বোনাস দিতে রাজি নয়। এই বোনাস নির্ধারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতায় দুই দফায় বৈঠক হয়েছে মালিকপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলির মধ্যে। প্রথম বৈঠকে মালিকপক্ষ ৮.৩৩ শতাংশ বোনাস দেওয়ার কথা জানায়। দ্বিতীয় বৈঠকে মালিকপক্ষের তরফ থেকে সামান্য বেড়ে ৮.৫০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার কথা বলা হয়। যা কোনমতেই মানতে চাননি চা শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। ফলে বৈঠক ভেস্তে যায়।
advertisement
এবার এতটা কম বোনাস দেওয়া প্রসঙ্গে চা বাগান মালিকদের দাবি, তাঁদের ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে, তাই বেশি বোনাস দেওয়া সম্ভব না। অপরদিকে সারা বছর উদায়স্থ পরিশ্রম করার পর। চা শ্রমিকরাও কম বোনাস নিতে রাজি নন। এই নিয়ে বিবাদের মধ্যে প্রতিটি চা বাগানের সামনে পিকেটিং, বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন শ্রমিকরা। আলিপুরদুয়ারের দলগাঁও চা বাগানেও তেমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরেই উদ্যোগী হয় চা বাগান কর্তৃপক্ষ। এমনিতে এই চা বাগানে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। তা ডুয়ার্সের অন্যান্য চা বাগানের সামনে নজির হতে পারে। এরপরই চা বাগান কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এসে জানায়, কলকাতার বৈঠকে যাই ফায়সালা হোক না কেন তাঁরা শ্রমিকদের ২০ শতাংশ হারেই বোনাস দেবেন। তবে এর জন্য শর্ত চাপানো হয়েছে। শ্রমিকদের লিখিত দিতে হয়েছে, তারা কাজে মন দেবে, বাগানে কোনরকম আন্দোলন করবে না।
চা বাগান নিজে থেকে এগিয়ে এসে ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়ায় বিশাল খুশি দলগাঁও-এর শ্রমিকরা। এই প্রসঙ্গে দলগাঁও চা বাগানের ম্যানেজার মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য জানান, স্থায়ী শ্রমিকদের বোনাস দেওয়া হয়েছে। এরপর অস্থায়ী শ্রমিকদের বোনাস দেওয়া হবে। শ্রমিক সংগঠনের থেকে ২০% বোনাসের জন্য আবেদন করা হয়েছিল, সেই আবেদন আমি কোম্পানির বোর্ড অফ ডাইরেক্টরের কাছে পাঠাই। কোম্পানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোনাস দেওয়ার।
অনন্যা দে