ভুটানগেট খুলতেই বাজারে সঠিক সময় কমলালেবু চলে এসেছে এবার। গতবার ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে মিলেছিল কমলালেবু। যার ফলে মন খারাপ ছিল ক্রেতা, বিক্রেতা উভয়ের। এবারেও বাজারে কমলালেবু আসতে দেরী হবে কি না ভেবেছিলেন ক্রেতা, বিক্রেতারা। ভুটানের কমলালেবুর স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হয়নি জয়গাঁর বাসিন্দাদের। ডিসেম্বরের প্রথমেই বাজার দখল করেছিল ভুটানের কমলালেবু।
advertisement
স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের পছন্দ এই কমলালেবু। চলতি বছরেই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ভুটানগেট খুলেছে। পর্যটকদের যাতায়াত লেগে রয়েছে। ফুন্টশোলিং শহর ছাড়িয়ে পাহাড়ি পথ বেয়ে কিছুটা দুরে রয়েছে একটি বৌদ্ধগুম্ফা। এই গুম্ফার আশেপাশে আছে অনেক কমলালেবুর গাছ। পর্যটকেরা গাছ থেকে পেরে আনতেন ভুটানের কমলালেবু। এই স্মৃতি আজও অমলিন জয়গাঁর বাসিন্দা ও পর্যটকদের কাছে।
কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে সেই কাজ এখন পর্যটকরা করতে পারেন কি না, সেই বিষয়ে থেকে যায় প্রশ্ন। জয়গাঁর রাস্তার দুপাশে নজর দিলেই দেখা যায় সারি সারি কমলালেবুর দোকান। কমলালেবুর রঙ ছেয়েছে জয়গাঁর বাজার। মুখে হাসি বিক্রেতাদের। বড় কমলা একশ টাকা ডজন এবং ছোটো কমলা সত্তর, আশি টাকা ডজন প্রতি বিকোচ্ছে বাজারে। ফল বিক্রেতারা জানান, "জয়গাঁবাসীদের ভুটানের কমলার প্রতি একটা আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এবারে স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি পর্যটকরা কিনছেন ভুটানের কমলা। পিকনিক করতে যারা আসছেন তারাও কিনছেন ভুটানের কমলালেবু। এর থেকে বেশি আর কি চাই।"
Annanya Dey