ভুটানগেট বন্ধ হওয়ার পর জয়গাঁর ব্যবসা তলানিতে। যেখানে ২০১৯ সালে ৮০ শতাংশ ব্যবসা হয়েছিল জয়গাঁতে। সেখানে ২০২১ সালে ৯০ শতাংশ ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। ২০২০ সালে তাও ৪০ শতাংশ ব্যবসা হয়েছিল বলে ব্যবসায়ী রা জানান। ভুটানগেট বন্ধের পাশাপাশি বেকারত্ব গ্রাস করছে জয়গাঁর ব্যবসাকে বলে মত তাদের। কারণ ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা ফিরেছে। ভুটানে যারা কাজে গিয়েছিলেন তারাও ফিরেছেন। এদের মধ্যে অনেকেরই কাজ নেই। যাদের কাজ আছে তাদের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। আগামী ২৩ সেপটেম্বর জয়গাঁর ভুটান গেট পর্যটকদের জন্য খুলছে ঠিকই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দারুন সুখবর!পর্যটকদের জন্য খুলছে ভুটানগেট! আসতে পারেন
তাতে কতটা লাভ হবে ব্যবসায়? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ব্যবসায়ীরা। গেট যদি সবসময় খোলা না থাকে তবে লাভের মুখ খুব একটা দেখা যাবেনা। কারণ-কোনও পর্যটক আলাদা করে জয়গাঁয় নেমে জিনিসপত্র ক্রয় করতে চাইবেন না। করোনা পরিস্থিতিতে ভুটানে পণ্যবাহী গাড়ি প্রবেশের অনুমতি ছিল। এখনও এই অনুমতি বহাল রয়েছে। জয়গাঁর অনেক ব্যবসায়ী পণ্য পাঠিয়েছেন ভুটানে। যদিও তাদের সংখ্যা অনেক কম। লাভের মুখ তেমন দেখেননি কেউই।
আরও পড়ুনঃ পানা নদীর জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত চুয়াপাড়ার শতাব্দী প্রাচীন এয়ারফিল্ড, ভাসার আশঙ্কা স্থানীয় বস্তির
সব থেকে বেশি শোচনীয় পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে ফুটপাত,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। মাছি তাড়িয়েই তাদের দিন কাটছে এখনো। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যবসায়ী দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করেছেন। জয়গাঁর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তথা কালচিনি ব্লক চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক রাকেশ পাণ্ডে জানান,\"ভুটান গেট খুলছে ব্যবসায়ীদের জন্য খুশির খবর। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জয়গাঁর ব্যবসায়ীদের জন্য লোনের ব্যবস্থা করা হোক।\"
Annanya Dey