হরিণটি সুস্থ হলে সেটিকে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা যায়। গতবছর এভাবেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে একটি হরিণ। আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট থানার দক্ষিণ খয়েরবাড়ির বোড়োপাড়া এলাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা হরিণটিকে আটকে রেখে দেয়। এরপর বনকর্মীরা এলে, তাদের হাতে তুলে দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম সংলগ্ন খয়েরবাড়ি বনাঞ্চল থেকে বেরিয়ে আসে হরিণটি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেল আলিপুরদুয়ারের পুরনো বাজার
বেলা ১টা নাগাদ হরিণটিকে এলাকায় দেখে তাড়া করতে থাকে কুকুরের দল। হরিণটি দিশেহারা হয়ে ছুটোছুটি করতে গিয়ে একাধিকবার তারজালির বেড়ায় জড়িয়ে গিয়ে আহত হয়। হরিণটিকে শুশ্রূষা করে সুস্থ করে জঙ্গলে ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বনদফতর। উত্তর খয়েরবাড়ির বিট অফিসের পক্ষ থেকে জানান হয় হরিণটি বার্কিং ডিয়ার প্রজাতির। মাদারিহাটের খয়েরবাড়ি, ইসলামাবাদ, ছেকামারি, ফালাকাটার দেওগাঁও, পশ্চিম শালকুমার গ্রামগুলির গা ঘেঁষে রয়েছে খয়েরবাড়ি বনাঞ্চল। বন থেকে বেরিয়ে মাঝেমধ্যেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হরিণ।
আরও পড়ুনঃ কালী পুজোর আগে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কুমোরটুলির মৃৎ শিল্পীরা
চিতল, সম্বর ও বার্কিং ডিয়ার প্রজাতির হরিণ রয়েছে ওই জঙ্গলে। এর আগে মাদারিহাট,বীরপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল আরেকটি হরিণ। জানা যায়,মাসতিনেক ধরে লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল একটি হরিণ। কখনও সুপারি বাগানে কখনও ঝোপঝাড়ে দেখা যাচ্ছিল সেটিকে। আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের মধ্য রাঙ্গালিবাজনা গ্রামে হরিণটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেলে হইহই করে সেটির পেছনে ছোটেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রাণ ভয়ে হরিণটি ঝাঁপ দেয় মুজনাই নদীতে। এরপর এলাকার বাসিন্দারা হরিণটিকে উদ্ধার করে বেঁধে রেখে বনকর্মীদের খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মাদারিহাট রেঞ্জের ধূমচী বিটের কর্মীরা।
Annanya Dey