জানা যায়, একসময় বারোবিশা গ্রামের পানীয় জলের উৎস ছিল এই প্রাকৃতিক জলধারা। সবাইকে স্নানটাও সারতে হত সেখানেই।তারপর কালের নিয়মে নলকূপ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের জলের পাম্প গ্রামে বসায়, এখন ওই জলধারায় স্নান করতে যাওয়া হয়না অনেকের। একের পর এক অদ্ভুত কান্ড রয়েছে এই জলধারাটিকে কেন্দ্র করে। এর একটি বৈশিষ্ট হল, গরম কালে ওই জল গায়ে ঢাললে বরফগলা জলের অনুভূতি মেলে।আর শীত কালে জল হয়ে ওঠে রীতিমতো উষ্ণ। তবে ঠিক কী কারণেওই জলধারার জলের উষ্ণতার ওই পরিবর্তন হয় তা নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনে গবেষণাই হয়নি বলে আক্ষেপ বাঁশ বাগানের মালিক খোকন বাবুর।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনাদের অনেকের বাড়িতেই রেইড হয়েছে আমি জানি, ভয় পাবেন না: মমতা
ওই প্রাকৃতিক জলধারার অতিরিক্ত জল আপন খেয়ালেই নিজের পথ বেছে নিয়ে মিশে গিয়েছে বারোবিশা গ্রামের বুক চিরে চলে যাওয়া সুটিমারি নদীতে। ওই বিস্ময়কর জলের উৎস দেখতে অনেকেই ছুটে আসেন বলে বাঁশ ঝারের ওই এলাকাটিকে সব সময় সাফসুতরো করে রাখেন খোকন দাস। খোকন বাবু বলেন " বর্ষায় যেমন জলের পরিমাণ বাড়ে না, তেমনি শুখা মরসুমে কমেও যায় না। তবে ঠিক কী কারনে দুই ঋতুতে জলের তাপমাত্রার ওই আমূল পরিবর্তন হয় তা আজও বিষ্ময়ের।"
আরও পড়ুন: প্রেমিকা ফোন কেটেছে, চরম পরিণতির দিকে এগোল প্রেমিক! রক্তারক্তি কাণ্ডে থ গোটা পরিবার
এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার কলেজের ভুগোল শিক্ষক শশাঙ্ক দে জানান,\"জেলায় এমন একটি রিসার্চের বিষয় রয়েছে,তা অজানা ছিল। ভূপৃষ্ঠ গঠিত কঠিন ও কোমল শিলাস্তর দিয়ে।এই শিলাস্তরে কোনও চাপ সৃষ্টি হওয়ায় ভৌমজলটি এইভাবে বেরিয়ে আসছে।" ঘটনাটি অনেকটা বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের আর্টিজিয় কূপের জলের ধারার মতো। এই জল পান করা যায়। কিন্তু কেন এই জলের ধারা? তা এখনও অজানা।
অনন্যা দে