কালচিনির এক চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করেন ললিতা নাগাসিয়া।স্বামী ভিনরাজ্যে কাজ করেন।বাড়িতে একা থাকে প্রতিবন্ধী মেয়ে ইশিতা।কাজ থেকে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায় ললিতার।মেয়ে ইশিতা চোখে দেখতে পায়না জন্মের পর থেকেই।অনেক চিকিৎসা করা হলেও কোনও ফল মেলেনি।এদিকে একা মেয়ে বাড়িতে কি করছে না করছে তা নিয়ে সবসময় চিন্তা করতে দেখা যায় ললিতা নাগাসিয়াকে।সন্তানকে নিজের কাছ থেকে দূরে করার কষ্ট অনেক।কিন্তু মেয়েটির ভবিষ্যৎ-এর জন্য তাকে হোমে পাঠানো ভাল সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন ললিতা নাগাসিয়া।
advertisement
আরও পড়ুন - বিধায়কের মানবিক মুখ, গাড়ি থামিয়ে নেমে অ্যাক্সিডেন্ট হওয়া পথচারীকে পৌঁছে দিলেন হাসপাতালে
সেইমতো শিলিগুড়ির এক হোমের সঙ্গে কথা বলে ইশিতাকে নিয়ে যান ললিতা।কথা বলেন হোমের কর্মকর্তাদের সঙ্গে।হোমে রয়েছে আরও দৃষ্টিহীনেরা।তাদের সঙ্গে কথা বলেছে ইশিতা।
আরও পড়ুন - FIFA World Cup 2022: বিশ্বকাপের মঞ্চে কারা পারফর্ম করবেন, কখন কোথায় চোখ রাখবেন ওপেনিং সেরিমনির জন্য
ললিতা নাগাসিয়া জানান,"সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারব না।দুঃখ তো হচ্ছিল।কিন্তু সে যাতে ভাল থাকে,তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।আরও অনেকে আছে ইশিতার মতো।তাদের সঙ্গে থেকে ইশিতার একাকিত্ব দুর হবে।মানসিক বিকাশ হবে।"
হোমে ইশিতার মতো প্রতিবন্ধীদের পড়াশুনো করানো হয়।শেখানো হয় নাচ,গান ও হাতের কাজ।বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে অংশগ্রহণ করে হোমের শিশুরা।ললিতা নাগাসিয়া আরও জানান, "মেয়েটা কিছু শিখতে পারবে।যে শিক্ষা ঘরে আমি তাকে দিতে পারতাম না।যখন মেয়েকে দেখতে ইচ্ছে হবে তখন চলে আসব।এই সুবিধা তো রয়েছে।ইশিতার চিকিৎসা হোম থেকে চালানো হবে বলে শুনেছি।"
Annanya Dey